যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু তাহের। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপিয়া ও সুমনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এদিন জামিনে থাকা পাপিয়া আদালতে হাজির হন। সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের তরফে কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে অধিকতর শুনানির জন্য আবেদন করেন। পাপিয়া ও সুমনের তরফে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়াও শুনানি করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া শুনানি চলে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের বিরতি দিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় পুনরায় শুনানি শুরু হয়। ৪টা ১০ মিনিটের দিকে আদালত রায় ঘোষণা করে।
আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরে আসামিপক্ষের আবেদনে পাপিয়াকে বিশেষ বিবেচনায় কারাগারে না পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তবে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় সুমনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, এ মামলায় তাদের ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০২৪ সালের ২০ জুন পাপিয়া কারামুক্ত হন। তবে অপর আসামি মফিজুর গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। আদালত তাদের যে সাজা দিয়েছেন, সেই মেয়াদের সাজা তারা আগেই শেষ করেছেন। পাপিয়াকে কারাগারে না পাঠিয়ে আমরা তার মুক্তি চেয়ে আবেদন করি। পরে আদালত বিশেষ বিবেচনায় আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন। তাকে কারাগারে যেতে হয়নি। আদালতের দেওয়া সাজা তারা ইতোমধ্যেই ভোগ করে ফেলেছেন। আমরা রায়ের পর্যবেক্ষণ দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেব।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১০ বছর। আদালত তাদের সাড়ে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপিল করা হবে।
রায় শুনে কাঁদলেন পাপিয়া : অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজার রায় শুনে কাঁদলেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কাঠগড়া থেকে নেমে পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন স্বামী মফিজুর রহমান সুমন।