নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রিঘাট এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কুপিয়ে আহত করা হয় বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানাকে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
জানা গেছে, ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মিছিলকারীরা হামলা করে পুলিশের উপর। এ সময় দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় এসআই আবু সাঈদ রানাকে। তিনি মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হন। উদ্ধার করে তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় ধৃতরা হলেন মো. হাসান (২২), জাহিদ হাসান (২৩), মনির হোসেন (২৩), শাহাদাত হোসেন (৪৯), মো. দেলোয়ার (২০), মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৮), অমিত হাসান শান্ত (২৫), মো. আব্দুল আজিম (৫৫), মো. ইকবাল (৩২), মোশারফ প্রকাশ সাহেব (৪৯), মো. রাব্বি সরকার (২৩), মোহাম্মদ তাসরিফ (২৫), সালাউদ্দীন বাদশা (২৫), নূর উদ্দীন মাসুম (৪২), মো. নূর উদ্দীন (৪৭), ইমতিয়াজুর রহমান (১৯), মো. রিমন (২৯), মো. টিপু (২৪)। বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন আজাদীকে বলেন, ছাত্রলীগ–যুবলীগ মিছিল বের করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। তখন মিছিলে থাকা কিছু সন্ত্রাসী পুলিশের উপর হামলা করে। এরপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ১৮ জনের রাজনৈতিক পদ–পদবী আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, যাচাই–বাছাই করে দেখছি।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) আমিরুল ইসলাম বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে চাপাতি, কিরিচ, ছোরা, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্র ছিল। তার মানে তারা প্রস্তুতি নিয়েই আসে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। তারা এখনো অ্যাক্টিভ আছে তাদের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করছিল। মিছিলে কতজন অংশ নিয়েছে জানতে চাইলে বলেন, আনুমানিক ২৫–৩০ জন হবে।