চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ও লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে একইদিন পটিয়ায় পৃথক ঘটনায় অগ্নিদগ্ধে এক নারী ও পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান : পটিয়ায় দ্রুতগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের সাথে অপর একটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গাড়ির যাত্রীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী বাসটি পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে উল্টে যায় এবং কারের সামনের অংশ দুমড়ে–মুচড়ে যায়। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস সড়কে ভাটিখাইনের করল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন জয়নাল আবেদীন (৩০), ওসমান (৪০), মালেকা আক্তার (৪০), নুসরাত (২), রবি (১৯), রাকিবুল ইসলাম (২১), খলিল (৪০), খালেক (৫৫) ও নুরুল আলম (৩৮)। তাদের মধ্যে খালেক ছাড়া বাকিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পটিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মুহাম্মদ জসিম জানান, দুর্ঘটনার পর বাস ও প্রাইভেটকারটি ক্রেনের সহায়তায় উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে, একইদিন উপজেলার হাইদগাঁওয়ে গীতা চৌধুরী (৬০) নামে এক নারীর নিজ ঘরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার শরীর আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।
পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান বলেন, নিহত ওই নারী ঘরে একা থাকতেন। তার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সম্ভবত গ্যাসের আগুন থেকে তার গায়ে আগুন লাগতে পারে। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে না আসায় প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করে। দরজা না খুললে, পরে তারা দরজার ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায়, তিনি বারান্দায় মাঠিতে পড়ে আছে। তার স্বামী সন্তান কেউ ছিল না। দুপুর আড়াইটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তার দেহটি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন।
অপর ঘটনায় হাইদগাঁও গ্রামে রাফসান নামের দেড় বছরের এক শিশু পুকুরে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাঠান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার প্রবাসী করিম উদ্দিনের পুত্র।
লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান : মহাসড়কের লোহাগাড়ায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় একটি সিএনজি টেক্সি তেলবাহী ট্রাকে নিচে ঢুকে পড়ে। এতে টেক্সিতে থাকা চালকসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে চালক মোহাম্মদ তারেক (৩৮) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাতগড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে গতিরোধক থাকায় কক্সবাজারমুখী তেলবাহী একটি ট্রাকের গতি কমায়। ট্রাকের পেছনে ঘটনাস্থলে এসে গতি কমান সিএনজি টেক্সিও। এ সময় একইমুখী দ্রুতগতির আরেকটি কাভার্ডভ্যান টেক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে টেক্সিটি ট্রাকের নিচে ঢুকে দুমড়ে–মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা টেক্সির ভেতরে থাকা ২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও কাভার্ড ভ্যানের চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুব আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত টেক্সি ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.












