ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০ এর নিচে আসার লক্ষ্য নারী ফুটবল দলের কোচ বাটলারের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১২ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও শেষ পর্যন্ত এএফসি অনূর্ধ্ব২০ উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার টিকেট মিলেছে। তাতেই খুশি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার। লাওস থেকে বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এই ইংলিশ কোচ জানালেন সামনের দিনে তার লক্ষ্য। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্যে তৃপ্তির উপলক্ষ্য এনে দিলেও বাটলারের মূল ভাবনা সিনিয়র টিম নিয়ে। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দারুণ করার সুবাদে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এক লাফে ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ১০৪তম স্থানে। বাটলারের চাওয়া ১০০ এর মধ্যে আসা। তিনি বলেন আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেটা অর্জন করেছি সেটি। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দিকে ফিরে তাকালে আমার মনে হয় এটি গত বছর চাইনিজ তাইপে থেকে শুরু হয়েছিল। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের উত্থান আসলেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কারণ একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং আরও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের আছে এবং মেয়েরা অত্যন্ত ভালো করেছে। তারা যা অর্জন করেছে, স্বীকৃতি, প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি র‌্যাঙ্কিং খুব দ্রুত নেমে আসতে পারে। খুব দ্রুত উপরেও যেতে পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং আবারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অধ্যবসায়ের সাথে চেষ্টা করতে হবে যাতে ফিফা র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং এটিকে ১০০ এর নিচে নামিয়ে আনা যায়। এএফসি অনূর্ধ্ব২০ উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬১ গোলে হারে মেয়েরা। এই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পরও বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে বাংলাদেশ কোচ স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন তার ছকে আসবে না কোনো বদল। কারো জ্বর হয়েছিল, চোট ছিল এবং আমাদের সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তারা যেভাবে খেলে সেটার প্রশংসা আমি করি। আমার মনে হয় আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম তা করেছি। কেকের উপরের পনীরটুকু খেতে পারিনি। তবে গতকাল বিশ্বের অনূর্ধ্ব২০ নারী ফুটবলের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে খেলেছি। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা রক্ষণাত্মক হতে পারতাম। নিচে নেমে খেলতে পারতাম। জীবন দিয়ে গোলটি আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতাম। কিন্তু আমি এর সাথে একমত নই। আমি এভাবে কাজ করি না। তবে হ্যাঁ, সামগ্রিকভাবে মেয়েদের জন্য আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসানরাইজ ও জেসিটি একাডেমির জয়
পরবর্তী নিবন্ধওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে দশে নেমে গেল বাংলাদেশ