এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচে আজ আবাহনী মুখোমুখি হচ্ছে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার বেলা ৫টায় দুই দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে। এ ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলেন আশার কথা শোনান আবাহনী কোচ মারুফুল। কোচ মারুফুল হক জানান তিনি ভালো কিছু পেতে আশাবাদী। আল আমিন, শেখ মোরসালিন, কাজেম শাহ কিরমানি ও মালির ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতের মতো অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিতরা যোগ হওয়ায় দল নিয়ে আগের চেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন তিনি। ‘যখন গ্রুপটা, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ ঠিক হয়েছিল, তখন থেকেই কিছু কাজ করেছিলাম। আমার পরিকল্পনা ছিল চার সপ্তাহ প্রস্তুতি নেব, কোনো কারণে সেটি হয়নি। আজসহ আমরা ২৬ দিন অনুশীলন করেছি, তারপরও আমরা বলব, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, মাঝপথে কিছু খেলোয়াড় দলের সঙ্গে যোগ হয়, গতকাল এলো দিয়াবাতে। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেছিলাম, সেখানেই আছি। তবে প্রতিপক্ষ কঠিন, তাদের সর্বশেষ ৭–৮ টা ম্যাচ দেখে আমার সেটাই মনে হয়েছে। যদি আমার খেলোয়াড়েরা মাঠে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, নিজেদের শক্তির জায়গা বাস্তবায়ন করে তাহলে ভালো কিছু হবে।’ ‘দিয়াবাতেকে ছয় বছর ধরে দেখেছি, যদিও প্রতিপক্ষ দলে, তবে ওকে আমার জানা আছে। গতকালকের সেশনে ওর সঙ্গে ট্রেনিং করেছি; ও আমাদের কৌশলগুলো নিতে পেরেছে। আমি আশাবাদী কালকে (আজ) যদি সেগুলো মাঠে ৫০ শতাংশ করতে পারে আমি খুশি হব। দিয়াবাতে, আল আমিনকে মাঠে রাখার চেষ্টা আছে। আল আমিন, মোরছালিন, কাজেম শাহ আসায় আগের বছর থেকে আমাদের দল শক্তিশালী হয়েছে মনে করি।’ মুরাস এফসিকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না মারুফুল। গত দুই বছরের কিরগিজস্তান কাপ জয়ী দলটির বিপক্ষে তিনি কাজে লাগাতে চান ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা। ‘নতুন দল হলেও মুরাস যেভাবে তাদের দেশের ফুটবলে এসেছে, সেটি ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো মতো, তাদের ফ্যাসিলিটি অনেক। তাদের খেলায় ইউরোপিয়ান ধাঁচ আছে। এইগুলো মোকাবিলা করতে হবে। তাদের দলে ইউক্রেইনের অনেক খেলোয়াড় আছে, বিশেষ করে রক্ষণের চারজনই ইউক্রেইনের। তারা পেশাদার দল, দ্রুত প্রতিপক্ষকে বুঝতে পারবে।
যেহেতু টেকনিক্যালি, ট্যাকটিক্যালি আমাদের খেলোয়াড় ওদের থেকে পিছিয়ে, এখানে আরেকটা বিষয় আছে মেন্টালি। এখানে যেন আমাদের খেলোয়াড় এগিয়ে থাকে। মেন্টালি অনেক সময় প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দেওয়া সহজ, আমি সেই পথেই হাঁটছি।’ ফুটবলের আঙিনায় মুরাস ইউনাইটেডের পথচলাই শুরু ২০২৩ সাল থেকে। এরই মধ্যে দুটি কিরগিজস্তান কাপ জিতেছে তারা। মাত্র এক বছর আগে দলটির হাল ধরা পুচকভ সের্গি বলেন, আবাহনীর সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তিনি।