সরকারি ৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের মামলায় খাগড়াছড়ি জেলার ৩ নং পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম (নয়ন) কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে মো. খোরশেদ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খোরশেদ আলম জামিনে ছিলেন। কিন্তু গত কয়েকটি ধার্য্য তারিখে তিনি গরহাজির ছিলেন। এতে তার জামিন বাতিল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আজকে (গতকাল) আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলছে।
আদালতসূত্র জানায়, পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ১০০০ জন কার্ডধারীকে জনপ্রতি ১৫ কেজি হারে বিতরণের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৫ মে. টন চল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত চাল বিতরণের জন্য ৩ নং পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম নয়নের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ১৫ কেজি চালের পরিবর্তে ইচ্ছা মাফিক মাস্টাররোলে উল্লেখিত কার্ডধারীদের ১০ কেজি হারে চাল বিতরণ করেন। উক্ত অনিয়মের বিষয়টি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন সচিব মো. মুজিবুর রহমান ভূইয়া নজরে পড়লে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তখন উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মুজিবুরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিবুর পানছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে দুদক তদন্ত করে। তদন্ত শেষ করে দুদক ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। নথিপত্র থেকে জানা যায়, সবমিলে ৬ হাজার ৯ শত ৪ কেজি চাল আত্মাসাৎ করেছে খোরশেদ আলম।