আনোয়ারা কেইপিজেডে আবারও বন্য হাতি আতংক দেখা দিয়েছে। সাড়ে ৩ মাস পর হাতিগুলো ফিরে আসায় এখানে কর্মরত ৩৫ হাজার শ্রমিক ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করছে। এর মধ্যে হাতিরপাল খাবারের সন্ধানে বসতবাড়ি ও লোকালয়ে হানা দিতে শুরু করেছে।
বর্তমানে হাতি গুলো কেইপিজেড এ কর্মরত শ্রমিকদের পাশাপাশি আনোয়ারা –কর্ণফুলী উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি হাতি গুলো যেন চুনতি অভায়ারণ্যে নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কেইপিজেড শিল্পজোনে কর্মরত শ্রমিক নাহিদা বলেন, প্রায় সময় হাতি গুলো সকাল আর বিকালে আমাদের আসা যাওয়ার পথে সড়কে দাড়িয়ে থাকে। অনেক সময় কারখানার পাশে গাছের ডালপালা ভাংতে দেখি। বিশাল দেহের হাতি গুলো দেখলে আমাদের মনে ভয় কাজ করে।
সহানীয় বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও হাতি নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে আন্দোলনকারী নেতা এডভোকেট নুরুল আজিম জানান, হাতিগুলো চুনতি অভায়ারণ্যে ফিরে যাওয়ার সাড়ে ৩ মাস পর আনোয়ারায় ফিরে এসে আবারো শিল্পকারখানা ও সহানীয়দের বসত ঘরে খাদ্যের সন্ধানে হানা দিচ্ছে। যার কারণে পুরনো আতংক আবারো সহানীয়দের চোখে মুখে দুঃচিন্তা ভাঁজ ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, গত ৭ বছরের বেশি সময় ধরে চুনতি অভয়ারণ্যে থেকে হাতি এসে দুই উপজেলার ২৪ জন মানুষ হত্যা করেছে । দুই শতাধিক মানুষকে আহত করেছে। শত শত বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সহানীয়দের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদের ক্ষতি করেছে। আমরা বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার হাতি গুলো ফিরিয়ে নিতে আবেদন করে ব্যর্থ হই।
কেইপিজেডের উপ–মহাব্যবস্থাপক মো. মুশফিকুর রহমান জানান, হাতিগুলো ফিরে যাওয়ার খবরে আমরা একটু স্বস্তিতে ছিলাম। সরকারের কাছে আমাদের দাবি। অতি দ্রুত যেন হাতিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।