ট্রাম্পের শুল্কের পর ভারত রাশিয়ার সম্পর্কে জোর

পুতিন-মোদী ফোনালাপ

| শনিবার , ৯ আগস্ট, ২০২৫ at ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে তর্কাতর্কি চলছে ভারতের। রাশিয়ার তেল কেনার শাস্তি হিসাবে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর এই ফোনালাপে ভারতরাশিয়ার সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন দুই নেতা। ভারতীয় পত্রিকা এনডিটিভি জানায়, পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন মোদী। খবর বিডিনিউজের।

পুতিনকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে তিনি লিখেছেন, তারা দুই জনই ভারতরাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানো নিয়েও কথা বলেছেন তারা। গতকাল মোদী এক্সএ লেখেন, বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাকে জানানোর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচ্যসূচির অগ্রগতি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করেছি। ভারত এবং রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও নিবিড় করা নিয়েও আলোচনা করেছি। এবছর পুতিনকে ভারতে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে আছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে। চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। এই শুল্ক কার্যকর হলে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। ট্রাম্প বলছেন, ভারতীয় সংস্থাগুলো রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা গুনছে এবং রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে। সে কারণেই ভারতীয় পণ্যে এই বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। তবে ভারত সরকার বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অযৌক্তিক বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং স্পষ্ট করেই বলেছে যে, তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়াও। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, সার্বভৌম দেশগুলো তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রাখে বলেই তারা বিশ্বাস করে। ওদিকে রাশিয়া সফরে যাওয়া ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, পুতিন ভারত সফর করবেন। চলতি মাসের শেষেই ভারত সফর করার কথা রয়েছে পুতিনের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা ১৬ বছর মৃত্যু বেশি জাপানে, জন্মের সঙ্গে গত বছরও ফারাক ১০ লাখ
পরবর্তী নিবন্ধশুল্ক বিরোধ না মিটলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা নয় : ট্রাম্প