জীর্ণ পরিবেশ ও চিকিৎসক সংকট, সেবা বন্ধ

আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্র

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ৯ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার জনবহুল জনপদ আবুতোরাব এলাকা। জনগুরুত্বপূর্ণ লোকালয় হলেও এখানে বিরল স্বাস্থ্য সেবা। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কয়েক মাস আগেও কিছুটা সচল ছিল, তবে এখন নিয়মিতই বন্ধ থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরাজীর্ণ পরিবেশে ডাক্তার বসার পরিবেশ না থাকা ও চিকিৎসক সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা। উপজেলার জনবহুল জনপদ আবুতোরাব এলাকা। মায়ানী, মঘাদিয়া, পশ্চিম খৈয়াছরা, উত্তর হাইতকান্দি এবং সাহেরখালী এলাকার একাংশ মিলে ৫টি ইউনিয়নের মিলনস্থল এ প্রাচীন বাজারটি। বাজারের প্রাণকেন্দ্রে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নির্মিত হয় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। গত বছরও এই স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়মিত সপ্তাহে দুদিন করে ডাক্তার বসতেন, ছিল স্বাস্থ্য সহকারী ও ফার্মাসিস্ট। কিন্তু প্রায় ৬ মাস ধরে এখানে এখন আর কোনো ডাক্তার আসছেন না। সপ্তাহে একদিনও বসছেন না স্বাস্থ্য সহকারী বা ফার্মাসিস্ট।

সম্প্রতি এক কার্যদিবসে সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রের দরজাজানালা সব বন্ধ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের রাস্থার পাশে বসে থাকা ভ্যানচালক মাহফুজ ও রাম দাস জানালেন, হাসপাতাল এখন খোলেই না। কদিন আগে সপ্তাহে একদিন খুলতো। এখন তাও খুলছে না। পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ৬ মাস আগেও সপ্তাহে একদিন ডাক্তার আসতো, আবার এলাকার দুস্থ মানুষ ঔষধ সংগ্রহ করতো। অনেক রোগী এখনো এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন, কিন্তু এসে দরজা জানালা বন্ধ দেখে পাশে প্রাইভেট স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেই যেতে হয়।

এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি শীঘ্রই ২ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ শীঘ্রই এর পুনর্নির্মান কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ পরিবেশে ডাক্তার বসার পরিবেশ না থাকায় প্রতিকূলতা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ জন ডাক্তারের পদ থাকা স্বত্বেও আছে বর্তমানে ১৭ জন। তবুও ৫ জনকে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রাখতে হয়েছে। তবে নতুন ভবন ও নতুন পরিবেশ ফিরলেই আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নতুন রূপে প্রাণ ফিরে পাবে এমন প্রত্যশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি
পরবর্তী নিবন্ধভাঙছে মাতামুহুরীর দুই তীর বিলীন হচ্ছে বসতি-স্থাপনা