কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ির মহালছড়ির সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রিজ পাড়ার ঘর–বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ায় গত ৩ দিন ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। অনেকে নৌকায় চলাচল করছে। বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ লালন বলেন, গত চার দিন আগে ঘরে পানি উঠেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এছাড়া উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে পানি নামায় আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম পাড়ার বাসিন্দা মো. হোসেন আলী বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে আমাদের পুরো পাড়ার বেশ কয়েক ঘরে পানি উঠেছে। আমার বাড়ির উঠান পর্যন্ত পানি উঠেছে। লেকের পানি বাড়লে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকার আতঙ্কে আছি।
এদিকে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মুবাছড়ি সড়কে স’মিল পাড়ায় সড়কের একাধিক অংশ ডুবে গেছে। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা রত্ন উজ্জ্বল চাকমা বলেন, প্রতি বছর সড়কের কাছাকাছি পানি আসলেও এবার সড়ক ডুবে গেছে। পানি কমছে না। স্থির অবস্থায় রয়েছে। মুবাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা জরুরি কাজে নৌকায় করে পারাপার করছে। সড়কটির অনেক অংশ ভেঙে গেছে। ভবিষ্যতে সড়কের উচ্চতা বাড়িয়ে যদি পুননির্মাণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জনভোগান্তি কমবে। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র মহালছড়ি উপকেন্দ্রের প্রধান মো. নাসরুল্লাহ আহমেদ জানান, লেকের পানি বাড়ার কারণে ১ আগস্ট থেকে আমাদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ল্যান্ডিং স্টেশন ডুবে গেছে। আর ১ ফুট পানি বাড়লে আমাদের অফিসও ডুবে যাবে। মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান জানান, কাপ্তাই লেকের পানি না কমায় সদর ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের ব্রিজ পাড়া, কাপ্তাই পাড়া, সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়ার প্রায় দুইশ পরিবার ডুবে গেছে। পানিবন্দি দুইশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মহালছড়ি দাখিল মাদ্রাসা আশ্রয়কেন্দ্রে ১২টি পরিবারের ৩৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।