আর ফিরল না রাফি

আনোয়ারা প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার খবরে পরিবারের অন্যদের সাথে জীবন বাঁচাতে দৌড় দিয়েছিল মোহাম্মদ রাফি (১২)। শেষ পর্যন্ত সেই তারে পেছিয়ে জীবন গেল শিশুটির। গত রোববার দিবাগত রাতে আনোয়ারার গহিরা এলাকায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে।

বাড়ির উঠানের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার খবরে ঘুম থেকে উঠে ভয়ে বের হয়েছিল রাফি। সেই ঘরে আর ফেরা হয়নি। সে সহানীয় একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাহাম্মদ রাফি সহানীয় সাহেব বানু বাড়ির মনু মিয়ার পুত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ঝড়ের প্রভাবে বাতাসে বাড়ির উঠানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে খুঁটিতে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আগুন আগুন বলে চিৎকার দিলে মনু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসে। এলাকার লোকজনের ডাকে আতংকিত হয়ে ঘরের বাইরে আসার সময় রাফিও ঘুম থেকে উঠে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির উঠানে ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তারে আটকে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে ঘটনাসহলে প্রাণ হারায়। লাইনে বিদ্যুৎ থাকায় রাফিকে এক ঘন্টার বেশি সময় পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন লাগার পর ১ ঘন্টা চেষ্টা করে বিদ্যুত অফিসের মোবাইলে সংযোগ পান স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা গেলে হয়তো রাফিকে বাঁচানো যেত। আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোরশেদুল আলম বলেন, আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ইমার্জেন্সি যোগাযোগের জন্য কোনো হটলাইন নাম্বার নেই। প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্য অভিযোগ কেন্দ্রের নাম্বার রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মুফতি ইজহারুলসহ ৮ জন খালাস
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত শুরু