বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন প্রথমবারের মতো মাত্র ২৫ বছর বয়সী একজন বিদেশি কোচকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দিচ্ছে। থাইল্যান্ডের প্যাটারাথ্রোর্ন পাসারা, যিনি খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বল্প সময় থাকলেও প্রশংসিত হয়েছেন, এখন বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের উন্নয়নে কোচ হিসেবে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন। অভিজ্ঞতায় তুলনামূলকভাবে নবীন হলেও পাসারার প্রশিক্ষণ দক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আলোচনা হয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এএম মাকসুদ আহমেদ (সনেট) বলেন, ‘প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল একজন চীনা কোচ আনার। কিন্তু বাজেট ও ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে আন্তর্জাতিক ফোরামে উচ্চভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় আমরা থাই কোচ পাসারাকে বেছে নিয়েছি।’
বর্তমানে ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকের বয়সই পাসারার চেয়ে বেশি। জাতীয় দলের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন মাহবুবের বয়স প্রায় ৫০ বছর, আর নারী দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সোনাম সুলতানা সোমা দুই দশকের বেশি সময় ধরে খেলছেন। তবে বয়সের ব্যবধান নিয়ে চিন্তিত নয় ফেডারেশন। বরং তারা চাইছে খেলোয়াড়রা যেন একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শেখার মানসিকতা গড়ে তোলে। মাকসুদ আহমেদ বলেন, ‘একজন কোচের কাজ শেখানো, আর খেলোয়াড়দের দায়িত্ব শেখা। বয়স এখানে বড় বিষয় নয়। ’
২০২২ সালে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৩১৪ নম্বরে থাকা পাসারা সাউথইস্ট এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে থাইল্যান্ডকে স্বর্ণপদক এনে দেন। ২০২৪ সালে চিং মি সার্কিট কিংস কাপে তিনি স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক জেতেন। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও কোচ হিসেবে ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় ভরসা রাখছে বাংলাদেশ ফেডারেশন। আগামী অক্টোবরে বাহরাইনে এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, নভেম্বরে সৌদি আরবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং আগামী জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এসএ গেমসকে সামনে রেখে উন্নত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ফেডারেশন। আপাতত দুই মাসের জন্য পাসারার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। পারফরম্যান্স সন্তোষজনক হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।