রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

| রবিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জরিমানার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন দেশটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা বলেন, এগুলো দীর্ঘ মেয়াদী তেল চুক্তি। রাতারাতি কেনা বন্ধ করে দিলাম এগুলো এতো সহজ না। ট্রাম্প গত মাসে ট্রুথ সোশালের এক পোস্টে স্পষ্ট করেন যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য ভারত অতিরিক্ত জরিমানার মুখোমুখি হবে। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের দেওয়া উদ্ধৃতিতে ওই দুই অনামা ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেন, ভারত সরকারের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধ করতে তেল কোম্পানিগুলোকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি’ সরকার। রয়টার্স গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, জুলাই মাসে ছাড় কমার পর ভারতের তেল শোধনাগারগুলো আগের সপ্তাহে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের জ্বালানি উৎসগুলোর ক্ষেত্রে যেসব বিষয় আমরা দেখি তা হল, বাজারে কী পাওয়া যাচ্ছে, কী কী ছাড় দেওয়া হচ্ছে আর বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বা অবস্থাও দেখি। জয়সওয়াল বলেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার একটি ‘স্থিতিশীল ও সময়পরীক্ষিত অংশীদারিত্ব’ রয়েছে আর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্ক তাদের নিজেদের যোগ্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এটি তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজকে মন্তব্যের জন্য রয়টার্স অনুরোধ করলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। ২০২২ সালের পর থেকে সমপ্রতি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলে ছাড় কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছার পর ভারতের তেল শোধনাগারগুলো পিছু হটতে শুরু করে। ২০২২ সালে মস্কোর উপর প্রথম পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তখন রাশিয়ার রপ্তানি কমে যাওয়ায় ও স্থিতিশীল চাহিদা না থাকায় তেলের দামে ডিসকাউন্ট দেওয়া শুরু করেছিল মস্কো। রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগারগুলো্তএইচপিসিএল, বিপিসিএল, এমআরপিএল ও আইওসিএল্তগত সপ্তাহে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করেছে। তাদের ভাষ্য, রুশ তেলে ডিসকাউন্ট কমাতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমাদানিকারক ও ব্যবহারকারী ভারত সবচেয়ে বেশি, ৩৫ শতাংশ তেল আমদানি করে রাশিয়া থেকে। তারপর আছে ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী ইসলামী ছাত্রসেনার সভা