পটিয়ায় ভিটে–বাড়ির বিরোধের জের ধরে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও তার পুত্রসহ উভয় পক্ষের ৬ নারী পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকায় পুরোনো বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল ইসলাম (৬৫) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও তাঁর ছেলে রাকিবুল ইসলাম শাওন (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। আরও আহত হয়েছেন আবদুস ছবুরের স্ত্রী আরাফানুত নুর (২৯), মৃত মো. ইসমাইলের পুত্র আবদুর রাজ্জাক (৪৫) ও তার স্ত্রী ফারজানা আকতার (৩০)। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। আহত নুরুল ইসলাম শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও মৃত ফোরক আহমদের ছেলে। আর তাঁর ছেলে রাকিবুল ইসলাম শাওন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ রাকিবুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক ও ফারজানা আকতারের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুচিতা দেব বলেন, দুজনের মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। পিতার অবস্থা বেশি সংকাপন্ন ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাটানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম ও পাশের বাড়ির আবদুর রাজ্জাকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে। উক্ত জায়গায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গতকাল শনিবার আবদুর রাজ্জাক ও তার লোকজন সেখানে দেয়াল নির্মাণে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে লাঠির আঘাতে নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে শাওনের মাথা ফেটে যায়।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু জস চাকমা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।
আহত রাকিবুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আমাদের বাড়ির জায়গায় জোর করে দেয়াল তুলতে এসেছিল তারা। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে।
ঘটনার পর আহত নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে আবদুর রাজ্জাক, তৌহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আরিফকে বিবাদী করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।