চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও জলবায়ু সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হলে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
গতকাল শুক্রবার হোটেল আগ্রাবাদে শুরু হওয়া এই ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন (আইসিকা ২০২৫)’ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল–আমি : একটি সবুজ পৃথিবীর জন্য। এতে ১৫টি দেশের দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। ৮টি দেশের গবেষকেরা ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ৯৯টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। নারী–পুরুষ অংশগ্রহণকারীর অনুপাত ছিল ৬.২:৩.৮, যা পরিবেশবিজ্ঞান ক্ষেত্রে নারীদের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বকে তুলে ধরে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আর ভবিষ্যতের সমস্যা নয়, এটি এখনকার বাস্তবতা। এটি মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আইসিকা আয়োজক কমিটির সদস্য ড. মোসায় সেলভাকুমার পলরাজ বলেন, এই সম্মেলন শুধু গবেষণার আদান–প্রদানের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি জলবায়ু সহনশীল ও ন্যায্য পৃথিবী গঠনের লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত অংশীদারিত্ব গড়ার প্রয়াস।
সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলো পাঁচটি থিমে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেশনে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ন্যায্যতা, জীববৈচিত্র্য, টেকসই প্রযুক্তি ও নীতি উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গাওসিয়া ডব্লিউ. চৌধুরী, বুয়েটের ড. সারা নওরীন, আইআইএসআর তিরুপতির ড. নন্দিনী রাজামণি, ইউনিভার্সিটি অব মন্টানার ড. নাদিয়া হোয়াইট, পারডু ইউনিভার্সিটির ড. এলিজাবেথ একলুন্ড এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. মোস্তফা কামাল সরকার। পরে বক্তব্য দেন কেয়ার বাংলাদেশের প্রধান গবেষক ড. আবু সাঈদ, আইআইটি গৌহাটির অধ্যাপক ড. অনামিকা বরুয়া, গবেষক ড. অ্যান্টনি স্টিফেন, ড. শান্তা দত্ত ও ড. অমৃত থাপা।
সম্মেলনে একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনায় ‘পরিবেশ বিজ্ঞানে নারীর ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনা করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন আফরিদা আসাদ। সম্মেলনের প্রথম দিন শেষ হয় পোস্টার উপস্থাপনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে। আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনে অংশগ্রহণকারীরা চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল, পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় টেকসই উদ্যোগ পরিদর্শনে যাবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।