বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী আর দেশের অর্থনীতি কুক্ষিগত করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। উত্তরাঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ঘিরে লাখো তরুণ–তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব এটি বিএনপির অগ্রাধিকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর চেম্বার ভবনের হলরুমে আয়োজিত রংপুর বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের রাজনৈতিক অঙ্গীকার শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের। রাজনৈতিক গণতন্ত্রের সাথে ব্যবসায়িক গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এছাড়া দল ও বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা দিয়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে না উল্লেখ করে তিনি দ্রুত নির্বাচনের দাবিও তোলেন। এ সময় তার দল ক্ষমতায় গেলে রাজনীতি ও অর্থনীতি পাশাপাশি চলবে জানিয়ে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, অর্থনীতি থাকবে সকলে জন্য মুক্ত। বক্তৃতাকালে রংপুর অঞ্চল থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের চিত্র তুলে ধরে এ অঞ্চলে শিল্পায়নের গুরুত্ব এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
রংপুরে ইন্টারনেট ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশ্বাস দিয়ে আমীর খসরু বলেন, রংপুরের মানুষকে কাজের জন্য আর বাইরে যেতে হবে না। আগামী দিনে রংপুরে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। আগামী দিনে ব্যবসা–বাণিজ্যের প্রসারে নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে উদ্যোক্তাদের আবেদন পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হবে বলেও জানান আমীর খসরু। এসময় ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা। মতবিনিময় সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, রংপুর অঞ্চল চরম বৈষম্যের শিকার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রংপুর অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে কাজ করা হবে। দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নও চান তিনি। সভায় বক্তব্য দেন, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এমদাদুল হোসেন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, বিভাগের আট জেলার চেম্বার নেতৃবৃন্দ এবং জেলা–উপজেলার বিএনপি নেতারা। উপস্থিত ছিলেন উইম্যান চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দও।