এক বছর বয়সী বাচ্চার কামড়ে সাপের মৃত্যু

| মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই, ২০২৫ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যুএরকম খবর আশ্চর্যের কিছু না। কিন্তু শিশুর কামড়ে সাপের মৃত্যু? ঠিকই পড়েছেন, আমাদের শিরোনামটায় কোনো ভুল নেই, একটি শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে আস্ত একটা সাপ। তাও আবার কোবরা। ঘটনা ভারতের বিহার রাজ্যের।

ওর মা তখন ঘরের পিছন দিকে কাজ করছিল। চুলা জ্বালানোর কাঠগুলো গুছিয়ে রাখছিল সে। পাশেই খেলছিল গোবিন্দ। তখনই সাপটা বেরিয়ে আসে। সাপটাকে দেখেই গোবিন্দ সেটাকে ধরে এক কামড় বসিয়ে দেয়। তখনই আমরা সবাই খেয়াল করি যে ওটা একটা গেহুঁওন সাপ,’ কথাগুলো বিবিসিকে বলছিলেন মতিসারি দেবী। কোবরা সাপকে স্থানীয় ভাবে গেহুঁওন সাপ বলা হয় বিহারের ওই অঞ্চলে। মতিসারি দেবীর এক বছর বয়সী নাতি গোবিন্দ গত বৃহস্পতিবার একটা আস্ত কোবরা সাপ কামড়ে মেরে ফেলে এখন খবরের শিরোনামে চলে এসেছে। বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার এক ছোট গ্রাম মোহছি বনকাটোয়ার বাসিন্দা গোবিন্দর পরিবার। তার বাবা সুনীল সাহ গ্রামে ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করেন। মতিসারি দেবী বলছিলেন, দাঁত দিয়ে সাপটাকে কামড় দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল গোবিন্দ। ওকে আমরা প্রথমে মঞ্ঝোলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ওকে বেতিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন বাচ্চা সুস্থ আছে। খবর বিবিসি বাংলার।

মঞ্ঝোলিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক নেয়াজ বলছিলেন, শিশুটি শনিবার সন্ধ্যাবেলাতেই বাড়িতে ফিরে এসেছে। ওকে নিয়ে সবাই খুব আলোচনা করছে। শ্রাবণ মাসে সাপ বেরােনোটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এরকম ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম হল। এক বছরের শিশু গোবিন্দকে বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় বেতিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার চিকিৎসা করেছিলেন শিশু রোগ বিভাগের ডা. কুমার সৌরভ। তার কথায়, শিশুটিকে যখন ভর্তি করার জন্য আনা হয়েছিল, তখন ওর চেহারা একটু ফুলে গিয়েছিল। মুখের আশপাশটা ফোলা ছিল। বাড়ির লোক আমাদের জানায় যে সাপের মুখের পাশে কামড় দিয়েছিল শিশুটি আর সাপের দেহের কিছুটা বোধহয় খেয়েও ফেলেছিল। আমার হাতে একই সময় দুটি শিশু রোগী ছিল তখন। একটি শিশুকে কোবরা সাপ কেটেছিল আর এই শিশুটি সাপকেই কামড়ে দিয়েছিল। দুটি শিশুই সম্পূর্ণ সুস্থ আছে এখন, বলছিলেন ডা. সৌরভ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ত্রবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় এই ত্রাণ সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো : জাতিসংঘ