প্রতিদিন জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুসহ ২৫০ জন রোগী, সেবা দিতে টিম গঠন

ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ২৮ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে তিন প্রকার ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন শিশুসহ নানা বয়সী রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। পানির তীব্র সংকট বলেও জানান হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা।

এদিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক প্রফেসর মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বর্তমানে ৩ ধরনের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তার সাথে স্বাভাবিক সর্দি জ্বরতো আছেই। বর্তমানে ৮জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে হাসপাতালে। সেই সাথে আবার এ বছর নতুন করে যোগ হয়েছে চিকুনগুনিয়া। এটি আাগে কখনো ছিল না। তিনি বলেন, জ্বরে প্রতিদিন আউটডোর (বহির্বিভাগে) গড়ে চিকিৎসা নিতে আসে শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষ। আর ইমার্জেন্সিতে আসেন ৩০ থেকে প্রায় ৫০জন রোগী। আর এখন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। হাসপাতালে ভাইরাস জ্বরে রোগীদের ভীড়ে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদেরও। তবে বর্ষা এবং শীত মৌসুমে জ্বরের প্রাদুর্ভাব সাধারণত একটু বেশি থাকে। দেহের শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে একটানা জ্বর থাকবে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পরও আবারও জ্বর আসবে। এ জ্বর ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। গায়ে জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ হতে পারে। তিনি বলেন, এসব রোগ প্রতিরোধে এবং সেবা প্রদানে আমরা আলাদা আলাদা ভাবে টিম গঠন করেছি। যাতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা অতি সহজেই এবং কম সময়ের মধ্যে সেবা গ্রহণ করতে পারেন। পানির সংকট ছিল তবে এখন আর নেই। সে সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। এদিকে চট্টগ্রাম বাঁশাবাড়িয়া থেকে হাসপাতালে ভাইরাস জ্বরে ভর্তি মোহাম্মদ আবুল কাসেম বলেন, আজ দুদিন হল হাসপাতালে ভর্তি আছি। তবে জ্বর কিছুক্ষণ থাকে, আবার কিছুক্ষণ পর চলে যায়। এভাবে আজ তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে জ্বর না কমায় হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছি। জ্বরের থেকেও বেশিরভাগ ভুগতে হচ্ছে পুরো শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে শুধু ব্যথা। তিনি বলেন, এক্সরে করিয়েছি এখনো রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট পেলে চিকিৎসা সেবা দেবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এখানে সেবার মান ভাল তাই এ হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু পানির তীব্র সংকট রয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম নগরীর কাট্টলী, খাগড়াছড়ি ও বহদ্দারহাট, হালিশহরসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা বলেন, এ জ্বর কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। পরিবারের একজনের জ্বর হলে পুরো সদস্যদের মাঝে তা ছড়িয়ে পড়ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৮ জুলাই : দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতিতে জানানো হয় অগ্নিঝরা প্রতিবাদ
পরবর্তী নিবন্ধ৫ অগাস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে : নাহিদ