অন্যের হয়ে আত্মসমর্পণ, গেলেন কারাগারে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ জুলাই, ২০২৫ at ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ

আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু আদালতের ডাটাবেইজ বিশ্লেষণে উঠে আসে, তিনি প্রকৃত আসামি নন। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তিনি নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার চরবাটা এলাকার মো. সাহেদের ছেলে মো. রাকিব। আর প্রকৃত আসামি হচ্ছেন নেত্রকোনা জেলার পূর্ব ধলা থানার মাসকান্দা এলাকার মো. সুমন মিয়া। অর্থাৎ সুমন মিয়ার স্থলে মো. রাকিব আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গিয়েছেন। গত ২১ জুলাই চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজে আসামি না হয়েও অন্যের হয়ে আত্মসমর্পণের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন মো. রাকিব। এ ঘটনায় গতকাল নগরীর কোতোয়ালী থানায় রাকিব ও সুমনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন নগর পুলিশের আদালতে থাকা প্রসিকিউশন বিভাগের আকবরশাহ থানার জিআরও এএসআই মো. সাইদুর রহমান।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আকবরশাহ থানায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি মাদক মামলা দায়ের হয়। যে মামলার আসামি মো. সুমন। তার বিরুদ্ধে সমপ্রতি চার্জশিটও দাখিল হয়েছে। এরমধ্যেই গত ২১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালতও তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার পর তার ডাটাবেইজ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। এতে দেখা যায় যে, কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি প্রকৃত আসামি সুমন মিয়া নন। তিনি হচ্ছেন মো. রাকিব। ভিন্ন উদ্দেশ্যে সুমন মিয়ার ছদ্মবেশ ও পরিচয় ধারণ করে এবং আদালতের কাগজপত্র জালিয়াতি করে মো. রাকিব আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। যা দণ্ডবিধির ২০৫/৪৬৬/৩৪ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নগরীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, একজনের জায়গায় অন্যজন আদালতে আত্মসমর্পণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এতে মো. সুমন মিয়া ও মো. রাকিব নামের দুজনকে আসামি করা হয়েছে। কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে। আমরা পদ্ধতি অনুযায়ী মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেন্দ্র ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধঐকমত্য হয়েছে ১২টি সংস্কার প্রশ্নে : আলী রীয়াজ