তৃতীয় দিনে গড়ালো থাই কম্বোডিয়ার সংঘর্ষ

অস্ত্রবিরতির আহ্বান মালয়েশিয়ার

| রবিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৫ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষ শনিবার টানা তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। এদিন সীমান্তের নতুন কয়েকটি পয়েন্টে সংঘর্ষ বিস্তৃত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

উভয়পক্ষ বলেছে, এই সীমান্ত বিরোধে তারা আত্মরক্ষার্থে কাজ করছে আর অপরপক্ষকে লড়াই বন্ধ করে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে গত ১৩ বছরে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নিহত এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উভয় দেশ জানিয়েছে, শনিবার ভোরেও সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু এবারের সংঘর্ষ হয়েছে দুই দেশের বিরোধপূর্ণ সীমান্তের সংঘর্ষ এলাকাগুলো থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে থাইল্যান্ডের উপকূলীয় প্রদেশ থ্রাত ও কম্বোডিয়ার পুরসাত প্রদেশের সীমান্তে। মে মাসের শেষ দিকে সংক্ষিপ্ত এক সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার একটি কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে উভয়পক্ষ সীমান্তে সেনা শক্তি বৃদ্ধি করে। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত দেশটির সাতজন সৈনিক ও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অপরদিকে, কাম্বোডিয়ায় পাঁচ সৈনিক ও আটজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ : আসিয়ান জোটের সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবায়নে তিনি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। এই পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছে কম্বোডিয়া, আর থাইল্যান্ড বলেছে, তারা নীতিগতভাবে এর সঙ্গে একমত। এখনও গোলাগুলি চলছে, বলে মন্তব্য করেছেন আনোয়ার। তিনি জানান, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং প্রয়োজনে তিনিও আলোচনায় যুক্ত হবেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্তেজনা : জাতিসংঘে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে থাই ভূখণ্ডে নতুন করে পুঁতে রাখা স্থল মাইনে দুই দফায় সৈন্য আহত হয়েছেন, যা তারা কাম্বোডিয়ার দায় বলে মনে করছেন। তবে কাম্বোডিয়া এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।

থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাম্বোডিয়া যেন অবিলম্বে শত্রুতামূলক ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আন্তরিক আলোচনায় ফিরে আসে। অপরদিকে, কাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ইচ্ছাকৃত, উসকানিমূলক এবং বেআইনি সামরিক হামলা চালিয়েছে। সীমান্তে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করছে। এই সামরিক প্রস্তুতি স্পষ্টভাবে থাইল্যান্ডের আগ্রাসন প্রসারিত করার উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, বিবৃতিতে বলা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভিবাসী ঢল নিয়ে ইউরোপকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন অনাহারে