নগরের পতেঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে দেবরের হাতে ভাবি খুনের ঘটনায় মূল হোতা দেবরসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভিকটিমের দেবর মো. রনি (২৮) ও সোলাইমান (৪৮)। গতকাল সোমবার থানা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, মামলা রুজুর পর থেকে একটানা অভিযান করে গতকাল পতেঙ্গা থানাধীন চড়িহালদা মোড় থেকে ঘটনার সাথে জড়িত ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় ১ নং আসামি মো. রনি ও ৩ নং আসামি সোলাইমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তার (৩২) চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ভিকটিম তার স্বামী ও সন্তানসহ ধুমপাড়া চড়িহালদার মোড়
হামিদ মাঝির বাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। ভিকটিমের সাথে আসামি মো. লোকমান হোসেনের (৪৫) এর ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। এ বিয়ে লোকমান হোসেনের পরিবারের লোকজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। বিবাহের পর হতে বিভিন্নভাবে স্বামীসহ স্বামীর নিকটত্মীয়রা ভিকটিমকে হয়রানি করে আসছিল। ভিকটিম ও তার স্বামী লোকমান হোসেন দাম্পত্য জীবনে ১ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জনক। ঘটনার ১ সপ্তাহ আগে ভিকটিম তার স্বামীকে রান্নাঘর মেরামত করার জন্য বললে ভিকটিমের স্বামী লোকমান ভিকটিমকে মারধর করে। গত ১৩ জুলাই রাত ১১টার দিকে ভিকটিমের দেবর মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. রনি ও তার স্বামী মো. লোকমান হোসেন রান্নাঘর মেরামত নিয়ে ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিকটিমকে তার দেবর সহ অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
ভিকটিম ফেরদৌসি আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামিরা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. মামুন খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করলে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।