ঢাকায় যে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, সেই যানের পাইলট ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন বলে ভাষ্য আইএসপিআরের। সংস্থাটি বলছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এফ–৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। এরপর যানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
দুর্ঘটনা মোকাবেলায় ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম যুদ্ধবিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত যানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়। খবর বিডিনিউজের।
এতে পাইলটসহ ২০ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ ও অ্যাম্বুলেন্সযোগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং আশপাশের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আইএসপিআর বলছে, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিমানবাহিনী একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে দুর্ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।