কন্ডিশন বুঝে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ২০ জুলাই, ২০২৫ at ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

সালমান আলি আগা অধিনায়ক হওয়ার পর আগ্রাসী ক্রিকেটের মন্ত্রে উজ্জীবিত পাকিস্তান গড়ে তুলছে নিজস্ব ঘরানা। গত দুটি সিরিজে খেলেছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। বাংলাদেশ সফরেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় তারা। গত মেজুন মাসে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে টিটোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর সালমান বলেছিলেন, তার নেতৃত্বে সামনের দিনগুলোতেও ‘বেপরোয়া না হয়েও সাহসী ক্রিকেট’ খেলার মন্ত্রে এগোবে পাকিস্তান। অবশ্য বাংলাদেশ সিরিজের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তারা হারে ৪১ ব্যবধানে। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানোর পর এই ঘরানার ক্রিকেট খেলতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাদের। পাকিস্তানের নতুন এই অ্যাপ্রোচের মূল মন্ত্র, কম বলে বেশি রান অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে ব্যাটিং করা। ব্যাটসম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া থাকে, ৩০৩৫ বলের মধ্যে যত বেশি সম্ভব রান করে নিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন সিরিজে মাঠে নামার আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এই একই অ্যাপ্রোচে এগোনোর কথা বলেন সালমান। ‘হ্যাঁ আমরা খেলার ধরন বদলেছি এবং আমরা এভাবেই খেলতে চাই। তবে কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখব এখানের কন্ডিশন কেমন এবং আমরা কীভাবে খেলতে চাই।’ মিরপুর শেরই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথাগত মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে এই অ্যাপ্রোচে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে জানেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তাই কন্ডিশন অনুযায়ী পরিকল্পনা বদলানোর আভাসও দিয়ে রাখলেন তিনি। ‘যদি কন্ডিশন তেমন হয়, তাহলে আমরা সেভাবে আগ্রাসী খেলা খেলব। কন্ডিশন সেটার অনুমোদন না দিলে, আমরা খেলব না।

আমাদের লক্ষ্য হল, পার স্কোরের চেয়ে ১০১৫ বেশি রান করা আর বোলিংয়ের সময় পার স্কোরের ওপরে যেতে না দেওয়া।’ মিরপুরের উইকেট ও কন্ডিশনের ধারণা পাওয়া খুব একটা কঠিন নয় পাকিস্তানের জন্য। এই সিরিজের পাকিস্তান স্কোয়াডে থাকা ৯ ক্রিকেটারের রয়েছে বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা। এছাড়া ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট সমপ্রতি বাংলাদেশের হয়েও কাজ করেছেন। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা বললেন সালমান। ‘হ্যাঁ অবশ্যই।

বেশিরভাগ ক্রিকেটার বিপিএল খেলেছে, যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য ও অভিজ্ঞতা পাওয়ার ক্ষেত্রে। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা নিজেদের ইনপুট দিয়েছে এবং সেভাবে পরিকল্পনা করেছি।’ এছাড়া বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের দেশে মিরপুরের মতো উইকেট বানিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তান। ‘করাচিতে আমরা একটি ক্যাম্প করেছি। সেখানে আমরা এখানে যেমন উইকেট পাব, তেমন উইকেট বানিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ কাপ ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত।’ তবে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক। বলেন,‘বাংলাদেশ দল যে কোনো স্টেডিয়াম, যে কোনো মাঠ, যে কোনো দেশে খুব ভালো দল। আর খেলা যখন তাদের দেশে হয়, তারা খুব খুব ভালো দল।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতীত না ভেবে সেরা ক্রিকেট খেলে রেকর্ড বদলাতে চান লিটন
পরবর্তী নিবন্ধসুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদের যাত্রা শুরু