গ্লোবাল সুপার লিগের দ্বিতীয় আসরে প্রথম শিরোপা জিতল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। ফাইনালে গিয়েও শেষটা প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। গ্লোবাল সুপার লিগে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৩২ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। গায়ানায় শুরুতে টস জিতে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় গায়ানা। যা টুর্নামেন্টরও সর্বোচ্চ! ওপেনার জনসন চার্লসের ৪৮ বলে করা ঝড়ো ৬৭ রান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৩৮ বলে করা বিধ্বংসী ৬৬ রান বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছে। শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসে অবদান রাখেন রোমারিও শেফার্ড। ৯ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে ম্যাচসেরা আফগান ব্যাটার গুরবাজ। রংপুরের হয়ে একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, তাবরাইজ শামসি ও ইফতিখার আহমেদ। জবাবে গত বছর উদ্বোধনী আসরের শিরোপা ঘরে তোলা রংপুর আস্কিং রান রেটের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। অথচ লিগ পর্বে ৪ ম্যাচের তিনটি জিতে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল রংপুর। এই গায়ানার বিপক্ষে জিতেছিল ৮ রানে। কিন্তু শিরোপা মঞ্চে ব্যাট হাতে তাদের শুরুটা ছিল হতাশার। ৪.১ ওভারেই বিদায় নেয় তাদের দুই ওপেনার ইবরাহিম জাদরান (৫) ও সৌম্য সরকার (১৩)। পাওয়ার প্লের মধ্যে তৃতীয় উইকেটও হারালে আরও পিছিয়ে পড়ে তারা। চতুর্থ উইকেটে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। ৭৩ রান যোগ করেন তারা। ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা সাইফ ১৩তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে ফিরলে আবার ছন্দ হারায় রংপুর। দ্রুত সময়ে ফিরে যান ইফতিখার আহমেদও। তাকে ৪৬ রানে এলবিডাব্লিউ করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ইফতিখারের ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার পরের ১৪ ডেলিভারিতে রংপুর আরও ৩টি উইকেট হারালে তখন আর কিছুই করার ছিল না তাদের। তখন স্কোর দাঁড়ায় ১৬.৪ ওভারে ১২৬ রানে ৮ উইকেট! মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ডেথে ১৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও তা রানরেটের চাহিদা মেটাতে পারেনি। গায়ানার হয়ে ৩৭ রানে তিনটি উইকেট নেন প্রিটোরিয়াস। দুটি করে নিয়েছেন ইমরান তাহির ও গুডাকেশ মোটি।