সবশেষ বিপিএলে টিকেট বিক্রি ঘিরে তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে সামনের সিরিজে পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে টিকেটের মূল্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টি–টোয়েন্টির টিকেট কিনতে হবে বিসিবির টিকেট বিক্রির ওয়েবসাইট থেকে। তবে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের বাইরে দুটি বুথ থেকে সশরীরেও কেনা যাবে টিকেট। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান সিরিজের টিকেট বিক্রি বিষয়ক তথ্য জানায় বিসিবি। আগামী ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই হবে টি–টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো। মাঠে বসে এই সিরিজের খেলা দেখতে গুনতে হবে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বিসিবির টিকেট বিক্রির ওয়েবসাইটে (http://www.gobcbticket.com.bd/) পাওয়া যাবে সিরিজের টিকেট।
গত বছরের মে মাসের পর আর ঘরের মাঠে টি–টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই সিরিজে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মিলিয়ে হওয়া সব ম্যাচে টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২০০ টাকা। এছাড়া সবশেষ বিপিএলেও লিগ পর্বে ২০০ টাকা দিয়ে প্রতি দিন দুটি করে ম্যাচ দেখার সুযোগ পেতেন দর্শকরা। প্লে–অফ পর্বের চার ম্যাচে সেটি বাড়িয়ে করা হয় ৩০০ টাকা। সেই ধারায় আন্তর্জাতিক সিরিজেও এবার ৩০০ টাকায় কিনতে হবে পূর্ব গ্যালারির টিকেট। এছাড়া শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড ও নর্দার্ন গ্যালারির টিকেট ৪০০ টাকা, ক্লাব হাউজের (শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ড) টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা। ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গুনতে হবে ১৫শ টাকা, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকেটের মূল্য ২৫শ টাকা। সবচেয়ে বেশি ৩৫শ টাকা ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জের টিকেটের মূল্য। এছাড়া গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের এক পাশে করা ‘ব্লক ৩৬’–এর ১০০টি টিকেট বিনামূল্যে দেওয়া হবে গত বছরের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের। গত বিপিএলের আগে ৩ বছরের জন্য বিসিবির টিকেট বিক্রির স্বত্ব কেনে মধুমতি ব্যাংক পিএলসি। তখন এই স্বত্ব বিক্রির অর্থের পরিমাণ জানায়নি বিসিবি। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড পরিচালক মাহবুব আনাম জানান, প্রতি বছরের জন্য ১ কোটি করে মোট ৩ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এই স্বত্ব। বিপিএলে অনলাইনের পাশাপাশি সশরীরেও টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা রাখে মধুমতি ব্যাংক। তবে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে সেভাবে সাড়া পায়নি তারা। উল্টো ভাংচুর করা হয় টিকেটের বুথে। মাহবুব বলেন, তাই এবার সব টিকেট অনলাইনেই বিক্রি করা হবে। সৌজন্য টিকেটের বাইরে ধারণক্ষমতার প্রায় ৭০ শতাংশ টিকেট ছাড়া হবে। সবগুলোই অনলাইনে ছাড়া হবে। পাশাপাশি সশরীরেও টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। সিরিজটি সমপ্রচার নিয়ে শুরুতে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও এখন আর কোনো শঙ্কা নেই। টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভির পর্দায় সরাসরি দেখা যাবে সবগুলো খেলা।