বিজ্ঞান আর নতুন ধর্ম

এম এ মুকিত চৌধুরী | সোমবার , ১৪ জুলাই, ২০২৫ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

বিজ্ঞান এখন নিজেই একটি ধর্মে পরিণত হয়েছেতারও রয়েছে নিজস্ব পুরোহিত (বিজ্ঞানীরা), পবিত্র গ্রন্থ (টেক্সটবুক), মিথ বা ডগমা (বিগ ব্যাং, ডারউইনিজম), এবং যারা সন্দেহ করে তারা যেন।’ বিজ্ঞান কীভাবে ধর্মের মতো আচরণ করছে, এবং কেন এই প্রবণতা আমাদের আত্মা ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক।

ধর্ম আর বিজ্ঞানসীমানা কোথায়?

ধর্ম মানুষের অস্তিত্ব, উদ্দেশ্য, নৈতিকতা ও পরকালের প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। আর বিজ্ঞান বিশ্লেষণ করে বস্তুজগৎ. জীব, পদার্থ ও শক্তির সম্পর্ক। দুটির ক্ষেত্র ভিন্ন, কিন্তু আধুনিক যুগে বিজ্ঞান ক্রমেই এমন এক ‘ধর্মীয় চেহারা নিচ্ছে, যা প্রশ্নাতীত, পূজ্য এবং যাকে অস্বীকার করা মানেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন্থ বা ‘পিছিয়ে পড়া’ বলে চিহ্নিত হওয়া।

পুরোহিত শ্রেণি: বিজ্ঞানী ও এক্সপার্টগণ:

প্রচলিত ধর্মে যেভাবে পুরোহিত বা ধর্মগুরুদের কথা শেষ কথা বলে মানা হয়, আজকাল তেমনি বিজ্ঞানীদের অবস্থান: তারা যা বলেন, সেটাই ‘সত্য’। তারা যা বলেন না, সেটার গুরুত্ব নেই। ‘এক্সপার্টস সে’ দিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যায়।

যেমন, কোভিড১৯ মহামারিতে সাধারণ মানুষ ‘ডব্লিউএইচও বলেছে’, ‘সিডিসি বলেছে ’এই কথার বাইরে কোনো বিকল্প মতকেই গুরুত্ব দেয়নি, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এসব সংস্থা নিজেরাই পরে ভুল স্বীকার করেছে। আবার, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে কেউ যদি মূলধারার বাইরে কথা বলেন (যেমন: ‘সব কিছুই মানুষের কারণে হচ্ছে না’), তাকেও দ্রুত ‘ডিনায়ার’ বলে দাগানো হয়। কিংবা, জেন্ডার বা নিউরোসায়েন্স ইস্যুতে অন্যরকম মত দিলে, সেটাকেও অনেক সময় ‘অবৈজ্ঞানিক’ বা ুডেঞ্জারাস থট’ হিসেবে বাতিল করা হয়।

পবিত্র গ্রন্থ: টেক্সটবুক ও পিয়াররিভিউড জার্নাল:

বিজ্ঞান এখন ‘স্কুল টেক্সটবুক’, ‘পিয়াররিভিউড জার্নাল’, ‘সায়েন্স ফান্ডিং এজেন্সি’ এবং ‘মেইনস্ট্রিম মিডিয়া’ ইত্যাদির মাধ্যমে এক ধরনের অপরিবর্তনীয় মিথ তৈরি করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সময় একটি নির্দিষ্ট গবেষণা ফলাফল, যেমন: ‘রেড মিট ক্যান্সারের কারণ’ বা ‘ভ্যাকসিন সব সমস্যার সমাধান’, এগুলো এতটাই জোর দিয়ে উপস্থাপন করা হয় যেন সেগুলোই চূড়ান্ত সত্য যদিও পরবর্তীতে গবেষণায় ভিন্ন ফলও দেখা যায়।

আপনি যদি বলেন, ‘বিগ ব্যাং একটা অনুমান মাত্র’, কিংবা ুডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বে ফাঁক আছে’, তাহলে আপনাকে অনেক ক্ষেত্রেই ‘অজ্ঞ’ বা ‘ধর্মান্ধ’ বলে চিহ্নিত করা হয়। অথচ, সত্যিকারের বিজ্ঞান চায় প্রশ্ন, বিতর্ক ও সংশোধন। এখানে বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে বিভেদ মুছে যাচ্ছে যেখানে টেক্সটবুকই ‘পবিত্র গ্রন্থ’ হয়ে গেছে।

ডগমা ও মিথ: প্রশ্নহীন বিশ্বাস:

উদাহরণ ১: বিগ ব্যাং তত্ত্ব: বলা হয়, ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে ‘একটি বিন্দ’ থেকে মহাবিশ্বের শুরু। কিন্তু প্রশ্ন আসে: ঐ বিন্দু এল কোথা থেকে? ‘শূন্য থেকে কিছু’ কীভাবে সম্ভব?

বলা হয়, মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন বিন্দু (সিঙ্গুলারিটি) থেকে বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন আসে সেই বিন্দু কোথা থেকে এল? মহাবিশ্বের শুরুতে পরমাণু তৈরি হয়নি, প্রথমে কেবল শক্তি ছিল। শক্তি থেকে কীভাবে কণা (কোয়ার্ক, গ্লুয়ন) তৈরি হলো, সেগুলো একত্রিত হয়ে নিউট্রনপ্রোটন গঠন করল এ সবই এমন প্রক্রিয়া, যার অনেক দিক আজও গবেষণাধীন।

তাহলে আরও প্রশ্ন আসে: পরমাণু তৈরি হলো কীভাবে? মৌলিক উপাদান বা এলিমেন্টগুলো (হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন) কীভাবে গঠিত হলো? রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কীভাবে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন তৈরি হলো? ডিএনএ কেন একটি কোডের মতো আচরণ করে, কে সেটি কোড করল?

এসব প্রশ্নের পেছনে বিজ্ঞানী সমাজ ব্যাখ্যার চেষ্টা করলেও, প্রতিটি স্তরে এমন জায়গা আসে যেখানে তারা বলে, ‘এখনও আমরা নিশ্চিত নই’। অথচ এই অস্পষ্ট বিষয়গুলোকেই অনেক সময় চূড়ান্ত সত্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এসব প্রশ্নের উত্তর নেই, অথচ এই তত্ত্বই স্কুলে অপরিবর্তনীয় সত্য হিসেবে শেখানো হয়।

উদাহরণ ২: ডারউইনিজম: ‘মানুষ এসেছে বানরজাতীয় প্রাণী থেকে’ এই কথা বললে বাহবা, কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়: মধ্যবর্তী ধাপগুলো কোথায়? বিবর্তনের লক্ষ্য কী? তখন আপনাকে বলা হয়, আপনি ‘বিজ্ঞান বোঝেন না’। এটা বিশ্বাস ছাড়া আর কী?

মানুষ হল সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব, আর বাকিরা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু কেন? বুদ্ধিমত্তার একচেটিয়া ধারণা: মানুষ নিজেকে ‘সর্বোচ্চ বুদ্ধিমান’ বলে দাবি করে, কিন্তু প্রকৃতিতে বুদ্ধিমত্তার অনেক রূপ আছে যেমন পাখির জটিল বাসা তৈরি, ডলফিনের ভাষা ব্যবহার, হাতির স্মৃতি। আমরা প্রায়শই শুধুমাত্র মানুষের মত বুদ্ধিমত্তাকেই মাপকাঠি ধরি।

বিবর্তন মানে ‘সব জীব সেরা হওয়া’ নয়, বরং ‘পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলা’। বানররা হয়তো তাদের পরিবেশে এতটাই মানিয়ে গেছে যে তাদের ব্যাপক পরিবর্তনের দরকার হয়নি। আর মানুষের মস্তিষ্ক ও সামাজিক কাঠামো এতটাই জটিল, যা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা। প্রকৃতিতে বিভিন্ন জীবের বিভিন্ন ভূমিকা থাকে। একটি প্রজাতি যেন দ্রুত বদলায় বা সেরা হয়, সেটাই নয় সর্বশেষ টিকে থাকা হল মূল কথা। মানুষের বুদ্ধিমত্তা যেমন অনেক উন্নত, তেমনি এর সঙ্গে আসে নৈতিকতা, দায়বদ্ধতা ও চিন্তার ভার। কিন্তু এই দায়িত্বের প্রশ্নগুলো বিজ্ঞানে বা বিবর্তনে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা পায় না। এইসব প্রশ্নগুলোকে উপেক্ষা করে আমরা একচেটিয়া ভাবনার বাইরে যেতে পারি না। এটি বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতারই একটি দিক।

যারা প্রশ্ন করে তারা:

একজন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি যদি বলে, ‘বিজ্ঞান সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারে না’, বা ‘আল্লাহ বা কোনো উচ্চতর চেতনার অস্তিত্ব থাকতে পারে’, তখন তার ওপর ক্যান্সেল কালচার, মকরি, এমনকি ক্যারিয়ার ক্ষতি পর্যন্ত হয়। যেমন: বিজ্ঞানী রুপার্ট শেলড্রেক যিনি ‘মরফিক রেজোন্যান্স’ এর ধারণা দেনটেড তাকে ব্যান করে। নাসিম হারামেইন, যিনি পদার্থবিজ্ঞানে বিকল্প ভাবনা আনেন তাকে প্রায়ই ‘সিউডোসায়েন্টিস্ট’ বলে দাগানো হয়। লৌরেন্স গোডফ্রে তিনি বিকল্প শক্তি ও পারমাণবিক বিক্রিয়ার গবেষণা করতেন। তাঁর কাজ অনেক সময় ‘ফ্রিঞ্জ সায়েন্স’ বলে বাদ দেওয়া হয়। মাইকেল লেকি, মানব বিবর্তন নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছিলেন, যা তখনকার প্রধান ধারার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছিল। অ্যাঞ্জেলা প্যাকওয়েথার মনোবিজ্ঞান ও নিউরোসায়েন্সে নতুন এক প্যারাডাইম নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে বলে বহুল সমালোচিত হন। পিটার ডি অ্যাটকিনসন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলেন, যা তাকে কিছু প্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত করে তোলে। মাথিউ কুক করোনাভাইরাস উৎস নিয়ে বিকল্প মত প্রকাশ করায় অনেক ক্ষেত্রেই তার বক্তব্য উপেক্ষা করা হয়েছে। এই উদাহরণগুলো দেখায়, বিজ্ঞানে বিতর্ক এবং প্রশ্ন স্বাভাবিক হওয়া উচিত, কিন্তু আজকের সময়ে অনেক সময় প্রশ্ন তোলা মানেই সামাজিক বা পেশাগত বিচ্ছিন্নতা।

বিজ্ঞানের পূজা: যন্ত্র ও ডেটার উপাসনা:

আজকের সমাজে প্রযুক্তি আর ডেটাই ঈশ্বরের স্থান দখল করেছে। আমরা ভাবি যন্ত্র ও সফটওয়্যার কখনো ভুল করে না, তারা সর্বদাই নিখুঁত সিদ্ধান্ত নেয়। ডেটা মানেই অবিচ্ছেদ্য সত্য, যা কখনো ভুল হতে পারে না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে, কারণ সেটা ‘বুদ্ধিমান’।

কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম মানুষ যন্ত্র তৈরি করেছে, তাই মানুষের ভুল ও পক্ষপাত সেই যন্ত্রের মধ্যেও থাকে। ডেটা প্রায়শই অসম্পূর্ণ, পক্ষপাতদুষ্ট বা ভুল বিশ্লেষণের ফলে বিকৃত হয়। অনেক সময় মেশিন লার্নিং মডেল নিজেরাই ভুল ধারণা নিয়ে কাজ করে, যা ‘ব্ল্যাকবক্স’ হিসাবে থেকে যায়, অর্থাৎ এর সিদ্ধান্তের কারণ বোঝা যায় না। প্রযুক্তির প্রতি অন্ধবিশ্বাস মানবিকতা, সহানুভূতি ও নৈতিকতার গুরুত্ব কমিয়ে দেয়। ডেটার সঠিক ব্যবহার না হলে তা ভুল তথ্য ও সিদ্ধান্তের কারণ হয়, যা কখনো কখনো বিপদ ডেকে আনে।

এছাড়া, চিকিৎসা, বিচারব্যবস্থা, আর্থিক সেক্টরেও এআই ও ডেটার দম্ভিত ব্যবহার অনেক সময় মানুষের অধিকারের লঙ্ঘন, বৈষম্য ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্ম দেয়।

সুতরাং, প্রযুক্তি ও ডেটা ব্যবহারে সতর্ক হওয়া জরুরি, এবং মনে রাখতে হবে ্ত এগুলি আমাদের সেবা করার জন্য, পূজার জন্য নয়।

আত্মা, নৈতিকতা, ভালোমন্দ বিজ্ঞান এসব চেনে না

বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে রক্তচাপ কীভাবে কাজ করে, ডিএনএ কীভাবে বংশগতি বহন করে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারে না: ন্যায়অন্যায় কী? আত্মার অস্তিত্ব আছে কী? ভালোবাসা বা ত্যাগের অর্থ কী? ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা এসব জায়গা পূরণ করে, যা বিজ্ঞান পারে না। বিজ্ঞান আমাদের বিশ্বকে বোঝার একটি শক্তিশালী উপায়, কিন্তু আত্মা, নৈতিকতা, ভালোমন্দের মতো দিকগুলো বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না। বিজ্ঞান কেবল উপাদানগত বাস্তবতা এবং প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাখ্যা দেয়, কিন্তু মানব জীবনের গভীর অর্থ, উদ্দেশ্য ও মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করতে পারে না। আত্মার অস্তিত্ব, জীবন ও মৃত্যুর পর কী আছে এসব প্রশ্ন বিজ্ঞানের পরিধির বাইরে। নৈতিকতা, অর্থাৎ ভালোমন্দের বিচার, সংস্কৃতি, ধর্ম ও সমাজের আদর্শ থেকে আসে, যা পরিবর্তনশীল ও পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। ভালোবাসা, ত্যাগ, করুণার মতো অনুভূতি বিজ্ঞানকে স্পর্শ করে না; এগুলো মানব জীবনের অন্তর্গত গুণাবলী।

এ কারণেই ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতার ভূমিকা বিজ্ঞানের পরিপূরক। বিজ্ঞান যেখানে থেমে যায়, সেখানে ধর্ম এবং নৈতিক দর্শন প্রশ্ন ও উত্তর দেয়। বিজ্ঞান যেহেতু তথ্য ও পরিমাপের উপর ভিত্তি করে কাজ করে, তাই তা কখনোই মানুষের অন্তরের জটিলতা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারে না। আমাদের নৈতিক সিদ্ধান্ত ও জীবনযাত্রার দিশা বিজ্ঞানের বাইরে থেকে আসে যা অনেক সময় অনুধাবন ও বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে।

যে আত্মা’র জন্য মানুষ প্রাণী থেকে মানুষ হয়ে ওঠে তার বিচারবোধ, করুণা, আত্মসংযম, দায়িত্ববোধ, আচরণ তা কেবল অন্য প্রাণীদের জন্য নয়, নিজের জাতির জন্যও আশীর্বাদ। কিন্তু তথাকথিত আধুনিক বিজ্ঞান সেই অবিনশ্বর আত্মাকে তুচ্ছ করে দিচ্ছে, মানুষকে নামিয়ে আনছে শুধুই রাসায়নিক বিক্রিয়ার জটিল ফর্মুলায়। মানুষ যেন আর আত্মাসম্পন্ন প্রাণী নয়, বরং কোডযুক্ত ডিএনএ, নিউরন সিগন্যাল আর হরমোনের গাণিতিক যোগফল মাত্র।

আয়রনি এই যে, আজ বহু ধর্মের গুরুউলামাপুরোহিতও তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘প্রমাণ’ করতে ব্যস্ত্ত যেন ধর্মকে নতুন ধর্ম ‘বিজ্ঞান’এর অনুমোদনের দরকার আছে! অথচ এতে করে তারা নিজের অজান্তেই বিজ্ঞানের ধর্মীয় চরিত্রকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যেখানে বিজ্ঞানই সত্যের চূড়ান্ত রেফারেন্স হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিজ্ঞান হোক পথ, পূজ্য না:

আমরা বিজ্ঞানকে প্রশ্ন করতে শিখিনি, যেমন আমরা ধর্মকেও অনেক সময় অন্ধভাবে অনুসরণ করি। কিন্তু যদি বিজ্ঞান নিজেই ধর্মে পরিণত হয় যেখানে কোনো প্রশ্ন করা যায় না, তখন তা আর সত্যের পথপ্রদর্শক নয়, হয়ে যায় নতুন অন্ধবিশ্বাস। বিজ্ঞানের কাজ প্রশ্ন করা, অনুসন্ধান করা পূজিত হওয়া নয়।

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিতর্ক হলো যুক্তি আর কল্পনা দিয়ে নিজের মত প্রমাণ করার চেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে