হিমালয় কন্যার দেশে : কাটমান্ডু হয়ে লুম্বিনী

তরুণ কান্তি বড়ুয়া | বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

আইরিশ কবি, লেখক, নাট্যকার অসকার ওয়াইল্ড বলেছেন ‘কোনো অজুহাত ছাড়াই জীবনে বাঁচুন, কোনো অনুশোচনা ছাড়াই ভ্রমণ করুন’। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৃষ্টির রহস্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনাদি মানুষকে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে। মূলত ভ্রমণের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বৈচিত্র্যময় বিষয়, কৃষ্টি, সভ্যতা নিয়ে মানুষ অনেক বস্তুনিষ্ঠ ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকে। একটি প্রবাদে বলা আছে ‘পৃথিবী একটা বই এবং যারা ভ্রমণ করেননা তারা একটি মাত্র পৃষ্ঠা পড়েন’। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ নিত্যনতুন তথ্য পেয়ে থাকেন যা বইয়ের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না। শৈশব, কৈশোর, যুব সন্ধিক্ষণ থেকে আমার মধ্যে এক ভ্রমণপিয়াসী মন বিদ্যমান। তাই সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি। কৃষ্টি, সভ্যতা, জনগণের জীবনযাত্রার নিত্যনতুন বিষয় দেখে অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছি যা আমার ভ্রমণ লিপির উপজীব্য উৎস হয়ে থাকবে।

২৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হিমালয় কন্যা নেপালের লুম্বিনী প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৪র্থ এশিয়ান বুড্ডিস্ট কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ফেস্টিভ্যাল এর যৌথ আয়োজনে ছিল লুম্বিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, নেপাল সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, লুম্বিনী বিশ্ববিদ্যালয় ও চায়না কালচারাল প্রমোশন সোসাইটি। এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকার প্রায় ৫০টির অধিক দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিল। মুখ্য সহায়তাদানকারী সংগঠন চায়না কালচারাল প্রমোশন সোসাইটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যাল এ উপস্থিত ছিল প্রায় ২০০ প্রতিনিধি। বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার ২৯ তম মহাসংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরর নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে আমি বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপদেষ্টা হিসেবে ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করি। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মি.বিনয় ভূষণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সদস্য লাবলু শ্রমণ ও বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট মিশনারী সোসাইটির উপদেষ্টা মি. ফুটন্ত বড়ুয়া।

কাটমান্ডু হয়ে লুম্বিনী ভ্রমণের কাঙ্ক্ষিত দিনটি ছিল ২৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। ২২ এপ্রিল রাতেই ‘তুর্ণা নিশিতা’ যোগে ঢাকায় ফিরে আসি। ২৪ এপ্রিল সকাল ৯.৩০মিনিট সময়ে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে যাই, যথাসময়ে আমরা বহির্গমন গেট দিয়ে এয়ারপোর্ট অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করি। আমাদের বহনকারী বিজি ৩৭১ ফ্লাইটটি ২ ঘন্টা বিলম্বে আকাশে উড্ডয়নের পর ১ ঘন্টা ১০ মিনিট সময়ে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মাটি স্পর্শ করে। অন এরাইভ্যাল ভিসা সংগ্রহ করতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগে। লিফটে নীচে নামতেই আয়োজকদের দুজন প্রতিনিধিকে আমাদের পাঁচজনের নাম সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে দাঁড়ানো দেখলাম। তাদের ভাড়াকরা মাইক্রো যোগে আমাদের জন্য নির্ধারিত থামেলস্থ মালবেরী হোটেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। উঁচুনিচু পথ পাড়ি দিয়ে রাজপ্রাসাদ দরবার স্কয়ার ডানে রেখে ৪০ মিনিটের মধ্যে আমরা মালবেরী হোটেলে পৌঁছে যাই। ভ্রমণে আসা লোকদের হোটেলে অবস্থানের জন্য কাটমান্ডুর এ এলাকা অত্যন্ত সুপরিচিত। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় বিশ্রাম না নিয়ে আমরা চার সফরসঙ্গী পার্শ্ববর্তী বিপনি ও রাস্তাঘাট ঘুরে দেখি। নেপালী পুরুষ নারীদের রাস্তার পাশে পসরা সাজিয়ে বসতে দেখে তৃতীয় বিশ্বের অনেক গরীব কিংবা স্বল্পোন্নত দেশের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নৈশভোজের পরিবর্তে হালকা স্যুপ পান করে হোটেল কক্ষে ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন সকাল ৭টায় প্রাত:রাশ সেরে আমাদেরকে ছুটতে হবে ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পথে। লক্ষ্যস্থল লুম্বিনী নগরীতে ৪র্থ এশিয়ান বুড্ডিস্ট কালচারাল ফেস্টিভ্যাল এ যোগদান। শ্রী এয়ারলাইনস বিমানটিও বিলম্বে ছেড়ে ৩০মিনিট সময়ে ১১.৫ মিনিট সময়ে লুম্বিনীর গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এখানেও অভ্যর্থনাকারী দল এসে ২৫ মিনিট সময়ের মধ্যে বুদ্ধমায়া গার্ডেনস হোটেলে পৌঁছে দেন। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হোটেলে অবস্থান করে একটি সান্ধ্যাকালীন সেমিনারে যোগ দিই। ফেস্টিভ্যাল এর সান্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে সেমিনার শেষে নেপাল চায়নার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করি। এর পরই নৈশভোজে অংশ গ্রহণ করি। সবচেয়ে শিক্ষণীয় বিষয়টি ছিল বুফে সিস্টেমে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি আমার পেছনে খাবার সংগ্রহে লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন সান্ধ্যকালীন সেমিনারের প্রধান অতিথি নেপাল সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী মি.ভদ্রী পান্ডে।

২৬ এপ্রিল২০২৫ খ্রিস্টাব্দে সকাল ৬.৩০ মিনিট সময়ে প্রাতঃরাশ সেড়ে আমরা পৌঁছে যাই ৪র্থ এশিয়ান বুড্ডিস্ট কালচারাল ফেস্টিভ্যাল এর অনুষ্ঠানস্থল লুম্বিনীস্থ আন্তর্জাতিক বুড্ডিস্ট কনফারেন্স এন্ড মেডিটেশন হলে। উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নেপাল সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে. পি . শর্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপাল সরকারের পর্যটন, সংস্কৃতি ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী মি. ভদ্রী পান্ডে, চায়না কালচার প্রমোশন সোসাইটির স্ট্যান্ডিং ভাইস চেয়ারম্যান মি.চেন গ্যাং, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া ও বাংলাদেশের ভিক্ষু প্রতিনিধিবৃন্দ। আলোচনা পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সীমিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ছিল অন্যদেশের তুলনায় অত্যন্ত আড়ম্বরহীন। সন্ধ্যা ৬ টায় আমাদের কর্মসূচি ছিল গৌতম সিদ্ধার্থের পবিত্র জন্মস্থান দর্শন ও প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮.৩০ মিনিট সময়ে হোটেলে ফিরে নৈশভোজ শেষে হোটেল কক্ষে ফিরে আসি।

২৭ এপ্রিল ২০২৫ এ প্রাত:রাশ সেরে আবারো আমাদের যাত্রাস্থল ছিল লুম্বিনীস্থ মায়াদেবী মন্দির পাশ্ববর্তী উন্মুক্ত মাঠ জুড়ে প্রায় ৫০০ ভিক্ষুসংঘের সম্মিলিত মন্ত্রপাঠ শ্রবণ। আরো প্রায় ৫০০ সাধারণ ভক্ত পূজারীর উপস্থিতি সমগ্র এলাকায় এক অনন্য ধর্মীয় আবহের সৃষ্টি করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষু ও প্রতিনিধিদের সম্মিলনের ধর্মীয় বাতাবরণ পবিত্র লুম্বিনীতে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর হোটেলে ফিরে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হোটেল থেকে ঘন্টাখানেক দূরত্বে অবস্থিত রামগ্রাম সফর। ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায় তথাগত বুদ্ধের পরিনির্বাণ প্রাপ্তির পর বুদ্ধের পবিত্র দেহ ধাতু যে ৮ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল তারই অংশবিশেষ দেহ ধাতু এখানে সংরক্ষিত আছে। গ্রামীণ জনপদের নৈসর্গিক পরিবেশে একাত্ম হয়ে মিলনের সুযোগ পেয়ে সত্যিই সেদিন ধন্য হয়েছিলাম। হোটেলে আসার পথে লুম্বিনী প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশ সরকার ও বৌদ্ধদের জন্য ভবিষ্যতে নির্মিতব্য নতুন টেম্পলের অবস্থানটি দেখে আসি।

২৮ এপ্রিল লুম্বিনী অবস্থানের শেষ দিনটি সেল্ফ ভিজিটের অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় প্রথমে বেরিয়ে পড়ি জাপান সরকার কর্তৃক নির্মিত বিশ্বশান্তি প্যাগোডা পরিদর্শনে। পরবর্তীতে থাই, মিয়ানমার, তিব্বতি বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন প্যাগোডাসমূহ পরিদর্শন শেষে সকাল ১১টায় আমরা হোটেল কক্ষে ফিরে আসি। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে দুপুর ২টায় বেরিয়ে পড়ি লুম্বিনী থেকে ৫০ কি.মি দূরে কপিলাবস্তুতে অবস্থিত শুদ্ধধন রাজার বাস্তুভিটা পরিদর্শনে। কপিলাবস্তু যাওয়ার পথে প্রথম পরিদর্শন করি মহাবন বিহার। কথিত আছে বুদ্ধ এ বিহারেও অবস্থান করেছিলেন। বনবিহার থেকে যাত্রা করে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তিলাউরাকটস্থ কপিলাবস্তু পৌঁছে যাই। চতুর্থ এশিয়ান বুড্ডিস্ট কালচারাল ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত সস্তবপাঠ,সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও প্রদীপ প্রজ্জলনের এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে কপিলাবস্তু রাজা শুদ্ধধন এর প্রাসাদ প্রাঙ্গনের বাস্তুভিটা সেদিন যেন ধর্মীয় আবহে ও উৎসবমুখর পরিবেশে এক অনন্য রূপ পরিগ্রহ করেছিল।

২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. দুপুর ১ টার দিকে আমাদেরকে লুম্বিনীস্থ গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সময় ২.৪৫ মিনিট শ্রী এয়ারলাইনস এর বিমান আকাশে উড়াল দিয়ে ৩০ মিনিট সময়ে আমাদেরকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়। আবারো শেষ রজনীর জন্য আমাদের ঠাঁই মিলেছিল মালবেরী হোটেলে। ৩০ এপ্রিল সময় স্বল্পতার কারণে কাটমান্ডু শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারিনি। সরকারি ছুটির দিন থাকায় রাজপ্রাসাদ দরবার স্কয়ার এর ভেতরটা ঘুরে দেখা হয়নি। তড়িঘড়ি করে দুএকটা জিনিস কিনে হোটেলে ফিরে আসি কারণ দুপুর ২টায় হোটেল ছেড়ে ঢাকা ফেরার জন্য ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর র দিকে ছুটতে হয়েছে। বিমানবন্দরে পৌঁছে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করে লিফট বেয়ে দোতলায় উঠে ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করে কাটমান্ডু ছেড়ে আসার অবশিষ্ট সময় লাউঞ্জে বসে কাটালাম। এবার কিন্তু আমাদের বিজি ৩৭৪ ফ্লাইটটি বিলম্বের রেকর্ড ভেঙে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.৪৫ এর পরিবর্তে ৬.২৮ মি. সময়ে আকাশে উড্ডয়নের পর ১ ঘন্টা ১২ মিনিট পর স্থানীয় সময় ৮.১০ মিনিট সময়ে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাত ৯.০০টায় আমি বনফুল আদিবাসী গ্রীন হার্ট কলেজে এসে পৌঁছি। সংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথের র নেতৃত্বে আমার সফরসঙ্গীরা রাত ১২টায় মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তথাগত বুদ্ধের পবিত্র জন্মস্থান লুম্বিনীতে সমাপ্ত হয় চতুর্থ এশিয়ান বুড্ডিস্ট কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে কৃষ্টি, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন ভিন্ন মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছিল। পূর্বে ভারতে বৌদ্ধ তীর্থস্থান ঘুরে আসলেও এবারের লুম্বিনী যাত্রায় কপিলাবস্তু না গেলে শুদ্ধধন রাজার বাস্তুভিটা দর্শন অপূর্ণ থেকে যেতো। এখানেই সুবিশাল প্রাসাদ চত্বরে সিদ্ধার্থের বেড়ে ওঠা, কৈশোর ও যৌবন প্রাপ্তি এবং গোপা দেবীর সাথে পরিণয় বন্ধন, চারি নিমিত্ত দর্শন, জ্বরাগ্রস্ত, ব্যক্তি, রুগ্ন ব্যক্তি, মৃতব্যক্তি ও সংসার ত্যাগী সন্নাসী দেখে জীবনের অনিত্যতা সম্পর্কে বুঝতে পেরে দু:খমুক্তির জন্য সংসার ত্যাগ করেছিলেন। গৌতম সিদ্ধার্থের পদচারণায় ধন্য কপিলাবস্তু দর্শন এবারের কালচারাল ফেস্টিভ্যাল এ যোগদানের অনন্য প্রাপ্তি। ধন্যবাদ ফেষ্টিভ্যাল আয়োজকদের প্রতি, শ্রদ্ধা ও বন্দনা বুদ্ধের পবিত্র জন্মস্থান লুম্বিনী ও কপিলাবস্তুর পবিত্র মাটির প্রতি।

লেখক: শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট; প্রাক্তন অধ্যক্ষ, রাংগুনিয়া সরকারি কলেজ, বর্তমানে রেক্টর বনফুল আদিবাসী গ্রীন হার্ট কলেজ, ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহবুব আজাদ : এক বহুমাত্রিক লেখকের প্রয়াণ
পরবর্তী নিবন্ধকর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই