দুপুরে ভাইয়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ফিরেছেন হাসিমুখে। আর রাতে তাকে পাওয়া গেল ঘরের সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়। কর্ণফুলী উপজেলায় ১৮ বছর বয়সী গৃহবধূ ফাহিমা বেগমের এমন রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর মালেক মাঝির কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ফাহিমা নোয়াখালীর সল্যাঘটিয়া এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে এবং কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী। বিয়ের বয়স এক বছরও হয়নি তাদের।
পুলিশ বলছে, সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ ঝুলছিল। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, সংগ্রহ করে আলামত। মরদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
তবে যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন—সেই দুপুরে কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ফাহিমা? কার সঙ্গে? স্থানীয়রা জানান, ভাইয়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরের ২৪ ঘণ্টায় কী ঘটেছে—তা স্পষ্ট নয়।
চরপাথরঘাটা ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় তাহের আহমেদ বলেন, “মেয়েটা স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ এমন ঘটনা আমাদের কাঁপিয়ে দিয়েছে।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা।”