রাঙ্গুনিয়ায় ২২ দিন ধরে নিখোঁজ ট্রাকচালক

আদালতে অপহরণ মামলা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

 

রাঙ্গুনিয়ায় গত ১৬ জুন মো. রায়হান (২৩) নামে এক ট্রাকচালক নিখোঁজ হয়। গতকাল মঙ্গলবার নিখোঁজের ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ঘরে ফেরেননি তিনি। পরিবারের দাবি পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় কিছু যুবক তাকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন নিখোঁজ রায়হানের মা জেসমিন আকতার। রায়হান উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মীরেরখীল নবী মাস্টার বাড়ির প্রবাসী আবদুল আলমের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রায়হান পেশায় ট্রাক চালক এবং ইটভাটা থেকে ভাড়াচুক্তিতে ইট পরিবহন করে থাকেন। মামলায় অভিযুক্তরা প্রায় সময় তার কাছ থেকে প্রটি ট্রিপে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা দাবি করে। তিনি দিতে রাজী না হওয়ায় গত ১৩ জুন তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এই ঘটনায় রায়হান আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে চাইলে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ১৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওইদিন রাতে মূল অভিযুক্ত নবীর হোসেনকে (৪৫) ফোন করলে তিনি বিষয়টি মিমাংস হয়েছে এবং আর কোন অসুবিধা হবে না এবং রায়হান চলে গেছে বলে জানান। কিন্তু এরপর থেকে রায়হান আর ঘরে ফেরেননি। এরপর সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ২০ জুন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের ২১ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ৭ জুলাই আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মামলার বাদী জেসমিন আক্তার বলেন, চাঁদার দাবিতে আমার ছেলেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে মিমাংসার কথা বলে পূর্ব পরিকল্পীতভাবে আমার সন্তানকে নবীর হোসেনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাবে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোয়ালখালী থেকে চুরি হওয়া বাস সীতাকুণ্ডে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
পরবর্তী নিবন্ধমুজিববাদী সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ হয়েছে : নাহিদ