কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ১২ দিন পর ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও তিনি পরীক্ষা করাতে অসম্মতি জানান বলে দাবি পুলিশের। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফির মামলায় গ্রেপ্তার চার যুবককে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের কুমিল্লার আমলি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান এসআই রুহুল আমিন। কারাগারে যাওয়ারা হলেন– মো. সুমন (২২), রমজান (২৩), মো. আরিফ (২৪) এবং মো. অনিক (২২)।
তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এর আগে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে না। সময়মতো বিস্তারিত জানানো হবে। আদালতে চারজনের মধ্যে দুজনের জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানালেও পরে তারা তা দেননি। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।
ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি ফজর আলী এখনো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি সুস্থ হলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।