কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন থেকে দিদার আলম নামে এক কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৪০ দিন হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিখোঁজ কৃষকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। দিদারের সন্ধানে পরিবারের পক্ষ থেকে চন্দ্রঘোনা থানায় জিডি করা হয়েছে। পরিবার এবং স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নিখোঁজ কৃষকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ দিদার আলমের বাবা জমির হোসেন জানান, তার বাড়ি কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোদালা এলাকায়। দিদার গত ৩১ মে সকালে তাদের নিজস্ব আদা খেতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে উনি আর বাড়ি ফেরেননি। খবর নিয়ে জানা যায় দিদার আদা খেতেও যাননি। পরে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় তার সন্ধান করা হয়। সকল আত্মীয়–স্বজন এবং পরিচিতের বাড়িতে খোঁজ করা হয়। এলাকায় মানববন্ধনও করা হয়। চন্দ্রঘোনা থানায় জিডি করা হয়। দেখতে দেখতে প্রায় ৪০ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ দিদারের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, তিনি কেন হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন, কোথায় গেলেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ তাকে ধরে নিয়ে গেছে সেরকম আলামতও পাচ্ছি না। তবে আমরা পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে আছি। জলজ্যান্ত সুস্থ একটা লোক দীর্ঘ ৪০ দিন কীভাবে নিখোঁজ থাকেন। থানায় অভিযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন সুখবর পাইনি।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. শাহজাহান কামালের সাথে কথা হয়। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, কৃষক দিদারের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। আমরা দেশের বিভিন্ন থানায় জিডির কপি পাঠিয়েছি। সম্ভাব্য সব স্থানে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে সন্ধান করা হয়েছে। আমি নিজেও বিভিন্ন স্থানে দিদারের খোঁজে তল্লাশি করেছি। তবে দিদার আলম মোবাইল ফোন নিয়ে যাননি। কোন স্থান থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও আমরা একটি সূত্র পেতাম। দিদারের মা বাবা এবং স্ত্রীর মোবাইলের কললিস্ট একাধিকবার চেক করেছি। তবে সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও পুলিশ ফোর্স বিভিন্ন স্থানে দিদার আলমের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি জানান।