রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার চার ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত শিলক খালের বিভিন্ন স্পটে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও একাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। খালের বিভিন্ন স্পটে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন আরও তীব্রতর হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্লক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পূর্ব খুরুশিয়া ফকিরটিলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনে বিলীন হয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। খালের ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে–মাটি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে গ্রামটির দরিদ্র জনসাধারণ। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে। অনেকে নিজেদের জায়গা না থাকায় আবারও নদীর পাড়ে ঘর বেঁধে কোনমতে থাকছেন। চলমান বর্ষায় খালের তীব্র স্রোতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবু খাল পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন গ্রামের নিরীহ শত শত পরিবার। তাদের দাবি, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে যেনো ব্লক স্থাপন করা হয়।
কথা হয় গ্রামের বাসিন্দা খায়েজ আহমদের সাথে। তিনি জানান, শিলক খালের তীব্র ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইতিপূর্বে অনেকের কাছে গিয়েছেন। সবাই শুধু আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু ভাঙন প্রতি বছর অব্যাহত রয়েছে। বুলু আক্তার নামে এক নারী জানান, যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন মনটা অনেক ছোট হয়ে যায়। এই বুঝি আমাদের ঘরখানা ভেঙে পড়ছে। এমন ঝুঁকিতে অনেক সময় নির্ঘুম রাত কাটছে বলে জানান তিনি। মো. আজগর আলী নামে একজন জানান, এই বর্ষাতেই গ্রামের বুলু আক্তার, মোরশেদ আলম, আজগর আলী, মাকসুদা বেগম, জেসমিন আক্তার, শারমিন আক্তারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও একাধিক পরিবার ও ফসলি জমি। এভাবে গত কয়েক বছরে শতাধিক ঘর ও ফসলি জমি এই খালে ভেঙে বিলীন হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে পুরো গ্রাম এই খালে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে নদী ভাঙনে সরেজমিনে এসে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি পউর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, সরেজমিনে দেখে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।