রাউজানে কিশোর দলের মারামারি থামাতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু

রাউজান প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

পাশাপাশি দুটি গ্রাম হারপাড়া ও মোকামী পাড়ার দুই দল কিশোরের মারামারি থামাতে গিয়ে বুকে ঘুষির আঘাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাউজানের এক যুবদল নেতা। মারা যাওয়া যুবদল নেতার নাম মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। ওই ইউনিয়নে যুবদলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এক কন্যা সন্তানের জনক।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে আলমগীর বাড়ির কাছে নিজের দোকানে বসেছিলেন। এসময় দুই পাশাপাশি গ্রামে কিশোরদের মধ্যে মারামারি ঘটনা দেখে তিনি ছুটে যান মারামারি থামাতে। এক সময় হঠাৎ একজন এসে তাকে বুকে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন কিশোরদের একটি গ্রুপ প্রায় সময় পাড়ার দোকানে বসে আড্ডা দিয়ে আসছিল। তারা মুরুব্বিদের সামনে ধুমপান করতো। এই ঘটনায় অপর একটি দল তাদের বাঁধা দিতে গেলে মারামারির ঘটনার সূত্রপাত হয়।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলমগীর দীর্ঘ সময় নির্বাসিত ছিলেন। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের পর গ্রামে ফিরেন। এলাকায় একটি মুরগির দোকান খুলেন। নিহত আলমগীরের ছোট ভাই মুহাম্মদ রফিক বলেছেন, তার ভাই মারামারির ঘটনা থেকে দুই পক্ষকে বিরত রাখার চেষ্টা করার মধ্যে এক জন এসে হঠাৎ তার বুকে ঘুষি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল শুক্রবার নিহত যুবদল নেতার জানাজায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি তাকে নির্যাতিত ত্যাগী নেতা উল্লেখ করেন। শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দেন। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘুষির আঘাতে ওই ব্যক্তির মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কথা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাছশূন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র
পরবর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ও অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন সমাজের আলোকবর্তিকা