বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এই প্রেক্ষাপটে ৪৯ জন প্রবাসী ফুটবলারকে নিয়ে তিন দিনব্যাপী ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গত মঙ্গলবার ট্রায়াল–পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু জানিয়েছেন, এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি এবং জাতীয় দলের জন্য কেউই বিবেচনায় আসেননি। টিটু বলেন জাতীয় দলের জন্য ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ফুটবলারদের মধ্যে কেউই উপযুক্ত নন। আমরা তাদের পারফরম্যান্সের ভিডিও বিশ্লেষণ করব। তবে এই মুহূর্তে জাতীয় দলের জন্য কেউ নির্বাচিত হচ্ছেন না। যদিও ট্রায়ালে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই নিজেদের খরচে দেশে এসে অংশ নিয়েছেন। তবুও কোয়ালিটির প্রশ্নে আপোষহীন থাকার বার্তা দিয়েছেন টিটু। তিনি বলেন সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আমরা কাউকে অবিচার করতে চাই না। তবে বিদেশি হাইপ দেখে নয়, জাতীয় দলে খেলতে হলে মানের দিক দিয়ে যোগ্য হতে হবে। তিনি আরও বলেন এটা এককালীন কোনও প্রক্রিয়া নয়। এটা একটি চলমান ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। যাদের বয়স ১৮–১৯, তাদের মধ্যে কিছু সম্ভাবনা দেখা গেছে। তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ক্যাম্পে বিবেচনা করা হতে পারে। টিটু জানিয়েছেন এমাসের শেষ দিকে এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিমূলক ক্যাম্পে এই ট্রায়ালের কিছু ফুটবলারকে ডাক দেওয়া হতে পারে। তবে জাতীয় দলে হামজা চৌধুরী বা শমিত সোমদের সঙ্গে খেলার মতো মানের কেউ এখনও নজরে আসেননি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে প্রশ্ন করলেও টিটু কোনো নাম উল্লেখ করতে রাজি হননি। তার মতে সবাই বাংলাদেশি। তবে জাতীয় দলের দরজা খোলা কেবল তাদের জন্যই যারা পারফরম্যান্স দিয়ে তা প্রমাণ করতে পারবেন।