নগরীর ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ১০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত–১ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ নির্দেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত একটি চারতলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবনসহ মোট ৫.০০ কাঠা ৯.৯০ ডেসিমেল জমি ক্রোক করা হয়েছে। এই সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে এস আলম ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফারজানা পারভীন। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট তিনি সম্পত্তিটি অর্জন করেন।
এছাড়া এস এস পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রায় ৫৮ কোটির বেশি শেয়ারসহ বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ও আলকডিয়া মৌজায় প্রায় ৩১,২৫১.৭০ ডেসিমেল জমি, স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও অন্যান্য চলমান ও অচল সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এস. আলম গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যেমন এস. আলম সিমেন্ট, এস. আলম ভেজিটেবল অয়েল এবং সোনালী কার্ডো লজিস্টিক লিমিটেড এই শেয়ার ও সম্পত্তির মালিক বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি গুলশান সার্কেল–১ শাখার একটি ব্যাংকে অবস্থিত এস.এস. পাওয়ার লিমিটেড–এর তিনটি এমএসএনডি হিসাবও ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই হিসাবগুলোতে মোট জমার পরিমাণ প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি হিসাবে রয়েছে ১০২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, দ্বিতীয়টিতে ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং তৃতীয়টিতে রয়েছে ৭৭৮ টাকা ৩১ পয়সা।
বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ জানান, গত ২২ জুন নগরীর ইসলামী ব্যাংক কাতুনগঞ্জ শাখা ১০ হাজার ২৮০ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ১৯৭ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে এস আলম ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটিডে, প্রতিষ্ঠানটির এমডি শহিদুল আলম, চেয়ারম্যান ফারজানা পারভিন, শেয়ারহোল্ডার ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, শেয়ারহোল্ডার আবদুস সামাদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, ওসমান গণি, মো. রাশেদুল আলম ও এহসানুল আলমকে বিবাদী করা হয়।