পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডার জের ধরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে পটিয়া থানার ভিতর ও থানার সামনে দুই দফায় এ বাকবিতণ্ডা ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। আহতরা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
জানা যায়, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা থানায় নিয়ে যায়। ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নুর বলেন, ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়নি। তারা থানায় এসে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও স্লোগান দেয়ায় তাদের ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে কেউ কেউ আহত হয়। ছাত্ররা থানার দরজা ভাঙচুরও করে বলেও তিনি জানান। বর্তমানে থানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালহা জানান, পুলিশ নিজেরা আসামি ধরে না। আমরা কোনো আসামি ধরে থানায় নিয়ে গেলে বা কোন তথ্য দিলে পুলিশ কোনো এ্যাকশনে যায় না এবং চিহ্নিত ফ্যাসিবাদীদের গ্রেপ্তারে কোনো ধরনের তৎপরতা নেই। পটিয়া থানা পুলিশ নিজেরাই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।