দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় আসর বিপিএল নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনার যেন শেষ নেই। তবে বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিপিএলকে নতুন করে সাজাতে চান। গত সোমবার অনুষ্ঠিত বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এরই মধ্যে এবারের বিপিএলের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে। চলতি বছর ডিসেম্বর এবং আগামী বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের পরের আসর। শুধু তাই নয়, বিপিএল নিয়ে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবার বিপিএল ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানা ১–২ বছরের জন্য নয়। ৫ বছরের জন্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিপিএল আয়োজনে যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে, সে জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এছাড়া বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে বিসিবির বাইরে থেকেও লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিসিবি সভা শেষে জানিয়েছেন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিপিএলের টাইমফ্রেম ঠিক করা হয়েছে ডিসেম্বর–জানুয়ারি। বিপিএল নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল গত আসরে। এর আগের আসরেও। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্যান্য দেশে যেমন প্রখ্যাত স্পোর্টস এজেন্সিকে দায়িত্ব দেয়ার। আইপিএল বলেন বা পিএসএল বলেন তারাই কাজটা করে। এবার বিপিএলও আমরা এমন এজেন্সিকে দিয়ে করাব। বিপিএলের সবশেষ চক্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দলের মালিকানা পেয়েছিল ৩ বছরের জন্য। গত আসর দিয়ে শেষ হয়েছে সেই চক্রের মেয়াদ। পরবর্তী চক্রে মালিকানার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক মডেল তৈরি করা হবে। আগের মতো থাকবে না। রেভিনিউ শেয়ারিং বা সব কিছু স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মডেল তৈরি করা হবে।
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার বোর্ডের সব কাজে স্বচ্ছতার কথা জোর দিয়ে বলেছেন আমিনুল। তা নিশ্চিত করতে এবার বিপিএল আয়োজনের কমিটিতে বোর্ডের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ নেওয়া হবে জানান ইফতেখার। বিপিএল নিয়ে সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্ত, আগে কখনও হয়নি। বিপিএল নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য বোর্ডের বাইরের লোককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমরা যেন একদম ক্লিন ইমেজ নিয়ে শেষ করতে পারি। স্বচ্ছতা যেন থাকে। তাই বিপিএল কমিটিতে নানা ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাইরের লোকও নেওয়া হবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সময় হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারির কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ঠিক আগে বিপিএল আয়োজনে দেখা দিতে পারে নিরাপত্তা শঙ্কা। তবে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন তারা। বিপিএলে এর আগে কখনও দেখা যায়নি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে সামনের আসর থেকে সবার জন্য দুয়ার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সবার জন্য উন্মুক্ত। ক্রাইটেরিয়া আমরা ঠিক করি নাই। আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে এবং যেসব এজেন্সি এসব আগে সফলভাবে করেছে, তাদের পরামর্শ সহকারে একটা ক্রাইটেরিয়া ঠিক করা হবে। তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। ওই ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলে, আমাদের সরকারের নীতিমালা সব কিছু ঠিক থাকলে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিতে পারবে।