ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী সাহায্য কমানোয় মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ

| বুধবার , ২ জুলাই, ২০২৫ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর ব্যাপক তহবিল হ্রাস ও সংস্থাটিকে ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনায় বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে এক গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে। গবেষণা ফলাফল সোমবার ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, জানিয়েছে রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ : জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএসএআইডির তহবিল ও এর বিশ্বব্যাপী ছড়ানো ত্রাণ কর্মসূচী কাটছাঁট করা শুরু করে। মার্কিন সরকার জানায়, তারা অপব্যয় অপসারণের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মানবাধিকার কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা এই তহবিল হ্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়েছিলেন। গবেষণা বলছে, ইউএসএআইডির যোগানো তহবিল যা প্রাথমিকভাবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে যায়, নির্দিষ্টভাবে আফ্রিকার দেশগুলোতে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সংখ্যা অনুসারে : গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে যে গত দুই দশক ধরে ইউএসএআইডির অর্থায়ন করা কর্মসূচীগুলো বিশ্বব্যাপী তিন কোটি শিশুসহ মোট নয় কোটি ১০ লাখেরও বেশি মৃত্যু প্রতিরোধ করেছে।

গবেষণায় করা অনুমান নির্দেশ করে যে চলমান ব্যাপক কাটছাঁটের সঙ্গে সংস্থাটিকে ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা মিলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত আরও এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এদের মধ্যে পাঁচ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা হবে ৪৫ লাখ।

ওয়াশিংটন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক ত্রাণ দাতা। জাতিসংঘের রেকর্ডগুলো থেকে জানা যায়, বিশ্বের সব ধরনের মানবিক সহায়তার অন্তত ৩৮ শতাংশ আসে ওয়াশিংটন থেকে। গত বছর তারা বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার বিতরণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এর অর্ধেকেরও বেশি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে ইউএসএআইডির মাধ্যমে।

মূল উক্তি : গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, আমাদের অনুমান নির্দেশ করে যে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ঘোষিত ও বাস্তবায়িত আকস্মিক তহবিল কাটছাঁটের বিষয়টি উল্টে না দেওয়া হয় তাহলে এড়ানো সম্ভব এমন মৃত্যু সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে স্তম্ভিত করার মতো হতে পারে।

প্রসঙ্গ : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মার্চে জানিয়েছিলেন, ছয় সপ্তাহের পর্যালোচনার পর ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডির ৮০ শতাংশেরও বেশি কর্মসূচী বাতিল করেছে। বাকি যে প্রায় এক হাজারের মতো কর্মসূচী আছে তা এখন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল বিল সমর্থনকারী আইনপ্রণেতাদেরকে ইলন মাস্কের হুমকি
পরবর্তী নিবন্ধম্যান সিটিকে হারিয়ে আল হিলালের চমক মিলানকে হারিয়ে শেষ আটে ফ্লুমিনেন্সও