অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাঁচ দিন আগের ওই বৈঠক নিয়ে তিনি কথা বলেন।
সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বলে তাকে অবহিত করা হয়েছে। ভোটের প্রস্তুতি এখন ফুল গিয়ারে চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময় ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যথাসময়ে নির্বাচনের তারিখ এবং শিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাক্ষাতের বিষয়ে জানালেও আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সেখানে কিছু বলা ছিল না।
জুনের ১৫ তারিখ লন্ডনে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়। দুদিন পর এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সিইসি বলেছিলেন, যৌথ ঘোষণায় কারো সই নেই, ফলে সেটাকে তিনি সরকারি ঘোষণা বলতে পারছেন না। সরকারের তরফ থেকে তাকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানোও হয়নি। লন্ডনের ওই বৈঠকের ১১ দিনের মাথায় ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সিইসির।
গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কিছু বিষয় আলোচনায় এসেছে। ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা–এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে তার কোনো কথা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার দাবি রয়েছে কোনো কোনো দলের। সেই বিতর্ক নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি সাফ জানিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কিছু বলছেন না। তিনি জাতীয় নির্বাচনের কথাই বলে যাচ্ছেন। আমাদের মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন।