দেয়াঙ পরগণার আকবরী মসজিদ : মোগল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন

কানিজ ফাতেমা | সোমবার , ৩০ জুন, ২০২৫ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুপম আধার প্রাচীন এক ঐতিহাসিক জনপদ দেয়াঙ। আরাকান রাজ্য চট্টগ্রামে ‘রোসাঙ্গ’ নামে পরিচিত ছিল। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব উপকূলের সেই রোসাঙ্গ শহরের স্বর্গতুল্য এলাকাটিই দেয়াঙ। এই দেয়াঙই বর্তমান আনোয়ারা উপজেলা। মগ অধ্যুষিত দেয়াঙ পরগণায় প্রাথমিক পর্যায়ে স্বল্প সংখ্যক মুসলমানদের বসবাস ছিল। শঙ্খকর্ণফুলীচানখালী নদী পরিবেষ্টিত বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেয়াঙ পরগণা বা পাহাড়কে কেন্দ্র করেই প্রাচীন বন্দর শহর চট্টগ্রামের অতীত ইতিহাসের মূল স্রোতধারা রচিত হয়েছে। এই বন্দর শহরকে কেন্দ্র করে আরব বণিক তথা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসতেন। অষ্টম শতাব্দীর গোড়াতে আরবের বহু বণিক ও ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের সাথে ব্যবসাবাণিজ্য স্থাপন করেন। তারা চট্টগ্রাম ও তৎসন্নিহিত অঞ্চলসমূহে ধীরে ধীরে উপনিবেশ গড়ে তোলেন। ফলে অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে চট্টগ্রাম বন্দর (দেয়াঙ) আরব ব্যবসায়ী ও বণিকদের উপনিবেশে পরিণত হয়। দশম শতাব্দীর মধ্যভাগে চট্টগ্রাম ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় তারা ইসলামের বাণী প্রচার করতে থাকেন। এ সময় দলে দলে লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এতে বোঝা যায়, মগ অধ্যুষিত দেয়াঙ পরগণায় তখন থেকেই মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। এই বন্দর শহরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক যুদ্ধ বিগ্রহ সংঘটিত হয়। সর্বশেষ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৬৬৬ সালে আরাকানি মগদের সাথে মোগলবাহিনীর। এ যুদ্ধে আরাকানিরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলে পুরো দেয়াঙ রাজ্য মোগলদের দখলে চলে আসে। অতঃপর মোগল শাসকরা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে এই দেয়াঙ পরগণায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ নির্মাণ করে।

এদেশে মুসলমানদের শিল্প ঐতিহ্য প্রথমত স্থাপত্যকে নির্ভর করে বিকশিত হয়েছে। মুসলমানদের আগমনের পর বিভিন্ন স্থাপত্য ইমারত নির্মাণের ফলে ইসলামী স্থাপত্য শিল্প বাংলার স্থাপত্য শিল্পের সংস্পর্শে আসে। প্রায় ৭০০ বছর ধরে মুসলমানরা বাংলাদেশে মসজিদ, সমাধি, দুর্গ ইত্যাদি নির্মাণ করে স্থাপত্যকীর্তির এক অনুপম ঐতিহ্য গড়ে তোলে। বাংলার মুসলিম স্থাপত্যকে দুটি প্রধান স্থাপত্য রীতিতে বিভক্ত করা যায়। যথা: সুলতানী রীতি ও মোগল রীতি। গৌড়ে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নির্মিত ইমারতসমূহ সুলতানী স্থাপত্য রীতি এবং ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত ইমারতসমূহ মোগল স্থাপত্য রীতির আওতাভুক্ত। মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের ইতিহাসে মসজিদের স্থান সর্বাগ্রে।

দেয়াঙ পরগণা তথা বন্দর গ্রামের নিকটেই পাহাড়ের ঢালুতে পশ্চিমচাল গ্রাম। পাহাড়ের পশ্চিম চালা বিশিষ্ট কয়েকটি ঘরকে কেন্দ্র করে এই গ্রামের নামকরণ হয় পশ্চিমচাল। এই পশ্চিমচাল গ্রামের বখতিয়ার পাড়ায় মোগল স্থাপত্যের বিকাশধারায় গুরুত্বপূর্ণ ইমারত ঐতিহাসিক আকবরী মসজিদ। মোগল আমলের এই মসজিদটি স্থানীয় অধিবাসীদের নিকট বিভিন্ন নামে পরিচিত। সৈয়দ কুতুব মসজিদ, বুয়াইয়াহ মসজিদ, মুকিম নাজির মসজিদ প্রভৃতি নামে রেকর্ডপত্রে উল্লেখ রয়েছে। মসজিদটি বহু প্রাচীন বলেই স্থানীয়ভাবে ‘বুইরগ্যা মসজিদ’ নামেও পরিচিত।

দিল্লীর সম্রাট শাহজাহানের ছেলে বাংলার নবাব শাহ সুজা ভ্রাতৃকলহে লিপ্ত হয়ে আপন ভাই আওরঙ্গজেবের ভয়ে বাংলা ছেড়ে দেয়াঙ শহরে আশ্রয় নেন ১৬ মে ১৬৬০ এবং ১০ জুন তিনি সঙ্গীদের নিয়ে দেয়াঙে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তবে দেয়াঙের কোন্‌ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেন তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। শাহ সুজা ২৬ আগস্ট ১৬৬০ সালে আরাকানের রাজধানীতে পৌঁছার মধ্যবর্তী সময় দেয়াঙে অবস্থান করেন। দেয়াঙের পশ্চিমচাল এলাকায় বখতিয়ার গোত্রের বহু শিয়া মুসলিম পরিবার বসবাস করতেন। যারা গোত্রগতভাবে সুসংহত, সংরক্ষিত এবং সংঘবদ্ধ। এরই প্রেক্ষিতে শাহ সুজা এ এলাকায় সাময়িক আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। এই গ্রামে পূর্ব থেকেই বাঁশখড় দ্বারা নির্মিত একখানা মসজিদ ছিল। শাহ সুজা ঐ সময়ই উক্ত মসজিদটির পাকাগৃহ নির্মাণ করেন। দেয়াঙে অবস্থানকালে মুসলিম বসতিকে কেন্দ্র করে মোগল ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাঁরই পূর্বপুরুষ সম্রাট আকবরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে “আকবরী মসজিদ” নামকরণ করেন। প্রসঙ্গত তিনি যে অবস্থার প্রেক্ষিতে দেয়াঙ এসেছিলেন সে সময় মসজিদ নির্মাণ কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এ বিষয়ে বলে রাখা প্রয়োজন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে পূর্বাপর শাসকদের ন্যায় অনুরাগ ও ভক্তির কারণে স্থানীয় মুসলিম অধিবাসীদের সুবিধার্থে মসজিদ নির্মাণে মনোনিবেশ নতুন কিছু নয়।

এছাড়া মসজিদ নির্মাণকালীন হাতে আঁকা একটি নকশা পাওয়া যায়। নকশায় মসজিদ নির্মাণের সন উল্লেখ আছে। প্রথম ২টি সংখ্যা ১৬ স্পষ্টভাবে পড়া গেলেও পরের ২টি সংখ্যা অস্পষ্ট থেকে যায়। যেহেতু শাহ সুজা ১৬ মে ১৬৬০ সালে দেয়াঙ এসেছিলেন, সুতরাং শেষ সংখ্যাদ্বয় ৬০ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। অতএব, মসজিদ নির্মাণের সনটি ১৬৬০। হাতে আঁকা মসজিদের যে নকশা পাওয়া গেছে এর শীর্ষভাগে ‘কাহি ঘর’ লিখা আছে। ফারসি ভাষায় কাখ অর্থ পাকা আর কাখীঘর মানে পাকাঘর বা পাকা মসজিদ। মসজিদের পূর্ব পাশের পুকুরটি ‘কাইয়া’ পুকুর নামে পরিচিত। সম্ভবত ঐ পুকুরের মাটি দ্বারা মসজিদের ইট তৈরি করা হয়েছিল বলে কাখী পুকুর থেকে লোকমুখে ‘কাইয়া’ পুকুর হয়ে গিয়েছে।

গবেষক আবদুল হক চৌধুরী পশ্চিমচাল গ্রামের নিকটবর্তী বন্দর গ্রামের বসবাসরত খোট্টাগোত্র সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন– “খোট্টাদের আদিপুরুষ মোগল সৈনিক এবং এরা ভারতের বেনারসের বাসিন্দা, মোগল শাহ সুজার সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তখন থেকেই তারা বন্দর ও গোয়ালপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন।” উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে ধরে নেওয়া যায় যে, পশ্চিমচাল গ্রামের বখতিয়ার পাড়ায় প্রাচীন আকবরী মসজিদটি ১৬৬০ সালে নির্মিত। এর ছয় বছর পরে ১৬৬৬ সালে মোগলরা চট্টগ্রাম বিজয় করে দেয়াঙ বন্দরসহ শঙ্খ নদীর উত্তর সীমানা পর্যন্ত দখল করেন। মোগল সুবেদার নবাব এয়াছিন খাঁ আকবরী মসজিদের নামে শাহী ৮০ দ্রোণ লাখেরাজ সম্পদ বরাদ্দ করে মসজিদের ব্যয়ভার ও স্থানীয় মুসলিম বখতিয়ার বংশের জীবিত ভাতার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে ১৭৭৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক স্যার চালর্স উইলকিংস সনদ জারি করে উক্ত মসজিদের নামে ৬৩ দ্রোণ ৭ কানি ৫ গন্ডা জমি পুনরায় লাখেরাজ হিসাবে বরাদ্দ দেন। মসজিদ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্তে মুকিম নাজির নামক এক ব্যক্তি মসজিদের কিছু অংশের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছেন বলে উল্লেখ আছে। তাতে ধারণা করা হয়, নবাব শাহ সুজা মাত্র তিন মাস দেয়াঙ অবস্থানকালে মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। পরবর্তীকালে মুকিম নাজির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন। ফারসি ভাষায় খ্যাতনামা পণ্ডিত আসহাব উদ্দিন এই মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।

মসজিদটি মোগল স্থাপত্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন তা প্রথম দর্শনেই বোঝা যায়। মসজিদের দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট ও প্রস্থ ২৬ ফুট। ভেতরে জামায়াতের জন্য ৩টি কাতার ছিল। প্রতি কাতারে ১৪/১৫ জন মুসল্লীর স্থান সংকুলান হতো। মসজিদটি আয়তাকার এবং এর চারকোণে ৪টি ক্ষুদ্রাকৃতির মিনার আছে। পূর্বদিকে ৩টি খিলানের দরজা এবং মূল প্রবেশদ্বার ও দু’পাশের দু’দরজার সোজাসুজি উপরের দিকে দু’টি করে ক্ষুদ্রাকৃতির মোট ৬টি মিনার। বৃহদাকৃতির গম্বুজটি ভোল্ট বা ধনুকাকৃতির ছাদের সাথে খিলানো। গম্বুজের শীর্ষে পদ্ম ও কলস বসানো হয়েছে। ছাদের কিনারা বরাবর পাঁচিলে নিয়মিত লাইনে পলেস্তারা করা ঝুঁটি বা শিখা বসানো হয়েছে। মসজিদের দেয়ালগুলো সরু, চ্যাপ্টা ইটের তৈরি এবং দেয়ালের উপরিভাগ পলেস্তার করা। দেয়াল ৪টি সুন্দরভাবে কারুকার্য করা হয়েছে। মোগল স্থাপত্য রীতি অনুসারে এই মসজিদের মধ্যবর্তী খিলান অধিকতর কারুকার্যময়। এই খিলানটির উভয়পাশে দেয়াল সংলগ্ন মিনার আছে। খিলানটি নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি আয়তাকার কাঠামোর সাহায্যে এবং খিলানের ঠিক উপরে শিলালিপি ছিল। বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের প্রেক্ষিতে শিলালিপিটি ঢেকে গেছে। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও শিলালিপির স্পষ্ট পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। প্রত্যেক খিলানের বহির্ভাগ সুঁচালো ডগার ন্যায় এবং খিলানের উপরিস্থ প্রসারিত ভূমি বেশ কারুকার্যমণ্ডিত। মিহরাব সাধাসিধে ধরনের। মিহরাবের বর্হিভাগে শুধু কাঠামো দেখা যায়। কিন্তু অগ্রভাগে খুব সুন্দরভাবে কারুকার্য করা হয়েছে।

ছাদের উপরে ঠিক মাঝখানে বৃহদাকৃতির গম্বুজটির দু’পাশে অপেক্ষাকৃত ছোট ২টি গম্বুজ আড়াআড়িভাবে অবস্থিত। গম্বুজ দুটি ছিল কৃত্রিম তথা উভয়ের তলার অংশ ছাদের উপর বসানো। ছাদের নিচ থেকে খোলা ছিল না এবং উভয়ের দু’পাশে দুটি কপাট রয়েছে। ভেতরে কবুতর বাসা বেঁধে বাস করার খোলা জায়গা আছে। কবুতরের জন্য নতুন ফসলের ধান মানত করে মসজিদে নিয়ে আসত। সে সময় থেকে আজ অবধি লোকে কবুতরের জন্য মসজিদে ধান পাঠিয়ে থাকে, যা ‘হৈতুরের ধান’ নামে খ্যাত। মসজিদের খাদেম কবুতরের জন্য প্রেরিত ধানগুলো গ্রহণ করে থাকেন। প্রাচীনকাল হতে ঐতিহ্যগতভাবে এ ধারণাটি জনমনে বদ্ধমূল হয়ে আসছিল যে, হযরত মোহাম্মদ (🙂 ও তাঁর সহচর হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (.) মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদীনার দিকে যাত্রাকালে মক্কার অদূরে চাওর নামক পর্বতশৃঙ্গের গুহায় আত্মগোপন করেছিলেন তখন কালো মেঠে রঙের দু’টি কবুতর গর্তের মুখে তড়িত গতিতে বাসা বেঁধে রাসূল (🙂 এর শত্রুদের চোখে ফাঁকি দিয়ে জীবন রক্ষায় সাহায্য করেছিল। তাই মুসলমান সমাজ উক্ত কবুতর প্রজাতিকে বিশেষ গুরুত্ব ও যত্ন নিয়ে থাকে।

সর্বোপরি মসজিদটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও দৃষ্টি আকর্ষক। মুসল্লী সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির ফলে ১৯৫৯ সালের দিকে মূল মসজিদের সম্মুখে ৫২ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ২৫ ফুট প্রস্থ একটি বারান্দা নির্মাণ করা হয়। আরো বেশ কয়েক বছর পর জুমার নামাজে মুসল্লী সংকুলান না হওয়ায় সামনের কবরস্থানের কিছু জায়গা ভরাট করে মূল মসজিদ হতে সামনের দিকে প্রায় ৭৫ ফুট জায়গা সম্প্রসারণ করে বারান্দা নির্মাণ করা হয়। এতদসত্ত্বেও জুমা বা ঈদের জামায়াত অথবা বড় কোনো মাহফিলে লোক সমাগমে ব্যত্যয় ঘটতো। তাই ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালে মূল মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বেও দ্বিতল ভবনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। মসজিদটি বহুবার সংস্কারের ফলে ঘনঘন চুন বালির জন্য এর দৃঢ়তা, দীর্ঘায়ু ও স্থায়িত্ব অর্জিত হয়েছে বটে কিন্তু মসজিদের মর্যাদা, গাম্ভীর্য ও মৌলিকতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। বহুবার সংস্কারের ফলে এর গাত্রালংকার বিলুপ্ত হয়েছে বটে কিন্তু মোগল আমলের প্রথমভাগের অন্যান্য স্থাপত্যসমূহের মতো ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় পতিত হয়নি। মোগল স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটি এর নিজস্ব ভূমি নকশার উপরে দণ্ডায়মান রয়েছে। সম্প্রতি মসজিদের ভিতরে অত্যাধুনিক টাইলস ফিটিংস করা হয়েছে।

মোগল সভ্যতার স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি বিশাল অংশ জুড়ে আছে মসজিদ। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মোগল স্থাপত্যকলার বিভিন্ন নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সুবা বাংলার সরকার ইসলামাবাদ তথা বর্তমান চট্টগ্রামের অন্তর্গত দেয়াঙ পরগণায়ও মসজিদ কেন্দ্রিক স্থাপত্য নিদর্শন দৃশ্যমান। আলোচ্য আকবরী মসজিদ ঐ সর্ববৃহৎ মোগল স্থাপত্যেরই একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন হিসেবে এখনো সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোধিবৃক্ষ তলে
পরবর্তী নিবন্ধতথ্যযুদ্ধ ও বাংলা ডেটার দখল : কার হাতে আমাদের ভাষা ও ভবিষ্যৎ