সীতাকুণ্ডে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে এসেছিল একটি মেছোবাঘ। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধাওয়ায় একটি বাড়ির সামনে থাকা জাম গাছের মগডালে উঠে পড়ে মেছোবাঘটি। এরপর ওখান থেকেও পুকুরে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে জাল মেরে মেছোবাঘটি আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পর মেছোবাঘটি সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকো–পার্কের রেঞ্জারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জাল ছিঁড়ে মেছোবাঘটি বনে ঢুকে পড়ে। গতকাল শনিবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড রঙ্গীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাড়বকুণ্ডের রঙ্গীপাড়া এলাকায় মো. লোকমান হোসেন রকিবের বাড়িতে একটি মেছোবাঘ ঢুকে পড়ে। পরে তার ভাতিজা মাহমুদ, নাঈম, কায়েদ ও শাহরিয়াসহ গ্রামের লোকজন মেছোবাঘটিকে ধাওয়া করলে মেছোবাঘটি বাড়ির সামনে থাকা একটি জাম গাছের মগডালে উঠে পড়ে। এরপর ওখান থেকে ধাওয়া করলে ইউনিয়ন পরিষদ পুকুরে লাফিয়ে পড়ে মেছোবাঘটি। এ সময় তারা পুকুরে জাল মেরে মেছোবাঘটি আটক করতে সক্ষম হন।
লোকমান হোসেন রকিব বলেন, একটি মেছোবাঘ আমাদের বাড়ি সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় বাড়ির সদস্য ও ভাতিজারা মেছোবাঘটিকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে মেছোবাঘটি দৌঁড়ে গিয়ে আমাদের জাম গাছে উঠে পড়ে। এরপর ওখান থেকে পুকুরে লাফিয়ে পড়লে সেখানে জাল মেরে সেটিকে আটক করে। এরপর মেছোবাঘটি সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকো–পার্কের রেঞ্জারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্কে দায়িত্বে থাকা রেঞ্জার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মেছোবাঘটিকে গ্রামের লোকজন আটক করে এখানে নিয়ে এসেছিল। তবে এখানে আনার পর মেছোবাঘটি জাল ছেড়ে বনে ঢুকে পড়ে। তবে মেছোবাঘটি সুস্থ আছে, হতাহত হয়নি।