বিভিন্ন দাবিতে এনবিআর কর্মীরা যে আন্দোলনে নেমেছেন, তা সমাধানে সরকারকে অতি দ্রুত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ, বিটিএমএসহ ব্যবসায়ীদের ১১টি সংগঠন। গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার–উল–আলম চৌধুরী। খবর বিডিনিউজের।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হোসেন খান বলেন, ‘এনবিআর কর্মচারীদের আন্দোলনে দৈনিক আড়াই হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। আমি বলব না, এ পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে।’
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনগুলো বলছে, ‘কলম বিরতিতে দেশের আমদানি–রপ্তানি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রপ্তানিকারকরা সময়মত আমদানির কাঁচামাল খালাস করতে পারছেন না। ফলে দেশের রপ্তানিতে বর্ধিত লিড টাইম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সমুদ্র বন্দর ও বিমানবন্দরে পণ্য পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে। আংশিক কর্মঘণ্টার কারণে এক কর্ম দিবসের মধ্যে প্রত্যাশিত ইউপি পেতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লেগে যাচ্ছে।’
চলমান সমস্যার সমাধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাবসায়িক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সাতটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করা হোক। বিনিয়োগ, ব্যবসা–বাণিজ্য ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেগুলেটরি ও ফ্যাসিলিটেটিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক ও সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে আধুনিকায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নিদের্শ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত কর্মচারীদের কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।