বিএনপির সঙ্গে চীনের ‘অভূতপূর্ব সম্পর্ক’ তৈরি হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে সফররত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপির সাথে চীনের বন্ধুত্ব সবসময় ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক স্থাপন করেন। আমরা এবার সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে চীনে এসেছি। বিশেষ করে চীনের পক্ষ থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আমরা অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি। আমি আপনাদের জানাতে চাই, চীনের সাথে একটা অভূতপূর্ব সম্পর্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে বিএনপির।
চীন সফরের দ্বিতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী সাং ওয়াইদোং এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লুউ জিয়ানশার সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সফরে বিভিন্ন বৈঠকে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনে আমাদের এই সফরের জন্য তাদের (চীনা কমিউনিস্ট পার্টির) আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আমাদের সাথে অনেক ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনায় একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, পার্টি টু পার্টি এমওইউ হবে দুই বছরে একবার করে পলিটিক্যাল ডায়ালগের জন্যে। আমি মনে করি ‘দিস ইজ এ ব্রেক থ্রো’। এটা এই সফরে একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, চীন বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্টকে গুরুত্ব দেবে। একইসঙ্গে তারা বলেছে যে, এই ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে জনগণকেই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
সকালে বৈঠক শুরুর আগে বিএনপির নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান উপমন্ত্রী সাং ওয়াইদোং ও মন্ত্রী লুউ জিয়ানশা। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
সাং ওয়াইদোংয়ের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। এরপর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় তারা লুউ জিয়ানশার সঙ্গে বৈঠক করেন। মধ্যাহ্নভোজের পর বিএনপির প্রতিনিধি দল ‘মিউজিয়াম অব কমিউনিস্ট’ ও ঐতিহাসিক গ্রেট ওয়াল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের এক অনুষ্ঠানেও বিএনপি নেতারা যোগ দেন।












