আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। এছাড়া অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে হাছান মাহমুদের নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও একটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রীর নূরান ফাতেমারও ১২টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ বলেন, হাছান মাহমুদের নয়টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৪ টাকা রয়েছে। তার স্ত্রীর ১২ ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার ৪৬১ টাকা। দুদকের সহকারী পরিচালক আল–আমিন তাদের ব্যাংক হিসাব ও গাড়ি জব্দের আবেদন করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল–আমিন। পরে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন হাছান মাহমুদ। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, স্বামী হাছান মাহমুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নূরান ফাতেমা ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গত ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।