মার্কিন শুল্কের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বিএনপি : খসরু

| সোমবার , ২৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ বাণিজ্য শুল্ক (ট্যারিফ) মোকাবিলায় তার দল সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, এই ট্যারিফ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য চরম ক্ষতিকর হবে এবং এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গতকাল রোববার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন তার টিম নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের। আমীর খসরু জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উনি এসেছিলেন উনার টিম নিয়ে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের বিষয়গুলো আছে বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়েএকটা বড় ট্যারিফ আমেরিকানরা বাংলাদেশের ওপর দিয়েছে, সেটার ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এই ট্যারিফ বাংলাদেশ কীভাবে হ্যান্ডেল করবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে ট্যারিফের ব্যাপারে। এই ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে একটা সমাধান করা দরকার বলে আমরা মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ট্যারিফ যদি উচ্চ হারে বাড়ে তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করব এবং সহযোগিতা করব যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়। বাণিজ্য শুল্ক ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। আমীর খসরু বলেন, স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের বিষয়ে বলেছি। আমীর খসরু বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকটার প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছেন এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে দেশের মধ্যে বড় ধরনের স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে তো মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছে। এটা তো স্বস্তির ব্যাপার। সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণের সিদ্ধান্তে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী হবে তা গ্রহণ করতে সহজ হয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনসিপি চায় শাপলা ও ইসির পুনর্গঠন
পরবর্তী নিবন্ধসার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান