সীতাকুণ্ডে ফাতেমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী মুসলিম উদ্দিন পলাতক থাকলেও শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ সোনা পাহাড় এলাকার নুরুল আবছারের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সাথে ১০ বছর আগে সীতাকুণ্ড উপজেলার ১ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর গ্রামের নুরুল মোস্তফার ছেলে মুসলিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। অভিযোগ রয়েছে বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি কর্তৃক শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন তিন সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার। সর্বশেষ গত ১৪ জুন স্বামী মুসলিম উদ্দিন ফাতেমাকে মারধর করে ঘরে আটকে রেখে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফাতেমার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে শরীরের বেশির ভাগ পুড়ে যায় তার। এরপর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গত ১৮ জুন বুধবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর স্বামী মুসলিম প্রথমে দাবি করে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে। এরপর বলে স্ত্রী নিজেই শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তিনি গা ঢাকা দেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ফাতেমা আক্তারের বাবা নুরুল আবছার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ফাতেমার শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে (৫৫) শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত মুসলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ফাতেমর স্বামী মুসলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সৈয়দপুর উত্তর বগাচতর এলাকাবাসী। এছাড়া সীতাকুণ্ড থানার সামনে ভুক্তভোগী পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনদোলনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।