জীবনের সাথে ২৫ দিন প্রাণপণ যুদ্ধ করে অবশেষে হেরে গেলেন মোহাম্মদ আবদুল জলিল (৫৫)। জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার আকবর ফকির বাড়ির মৃত আবুল হাসেমের তৃতীয় পুত্র আবদুল জলিল চলতি বছরের গত ২৬ মে সোমবার তার আত্মীযের বিয়ের কেনাকাটার জন্য পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের নিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসদর বাজারে যান।
এরপর কেনাকাটা শেষে একটি সিএনজি টেক্সিযোগে রাত ৯টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের জোড়বটতল এলাকার সড়কের পাশে নেমে পড়েন। পরে তারা সবাই মিলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওই এলাকার সড়ক পার হওযার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় চট্টগ্রামমুখি একটি দ্রুতগামি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মোঃ ভুট্টুর ৭ বছর বয়সী ছেলে মোঃ আরাফ ও তার মা এবং আত্মীয় মোহাম্মদ আবদুল জলিল (৫৫) ঘটনাস্থলে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের মধ্যে আরাফ এর মা একটু সুস্থ হয়ে উঠলেও আবদুল জলিলের শরীরের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিন থেকে শুরু করে ২৫ দিন জীবনের সাথে যুদ্ধ করে গতকাল শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান আহত মোহাম্মদ আবদুল জলিল। তিনি বাঁশবাড়িয়া এলাকার আকবর ফকির বাড়ির মৃত আবুল হাসেমের তৃতীয় পুত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মোমিন বলেন, ২৬ মে (রবিবার) বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের জোড়বটতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল মোহাম্মদ আবদুল জলিল। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ বিষয়ে ঘটনার দিন মামলা দায়ের হয়েছে।