আনোয়ারা সদরের ডাক বাংলো–ডুমুরিয়া সড়কটি ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগে’ পড়ে আছে। স্থানীয়দের দাবি উপজেলা সদরের এ সড়কটি স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও হয়নি কার্পেটিং। ইট বিছানো খানাখন্দে বিধ্বস্ত এ সড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। সড়ক ঘেঁষে দুই পাশে সারি সারি বহুতল ভবন গড়ে উঠলেও পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা এ সড়কে নেই। বর্তমানে হাটু পানি জমে সড়কটির বেহাল অবস্থা কাড়িয়েছে জন দুর্ভোগ। আনোয়ারার আবাসিক এলাকা খ্যাত এ সড়কের দুই পাশে বসবাসকারী ৯০ শতাংশ ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের অধিকাংশ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারী। আবার অনেকে এখানে থাকেন একটু উন্নত জীবন আর ছেলেমেয়ের পড়াশুনার জন্য। কিন্তু বর্ষা এলেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এ সড়কের পাশে বসবাসকারী নানান পেশার মানুষ ও কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
দেড় কিলোমিটারের সড়কটিতে উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ২০০ ফুট সংস্কার করা হলেও বাকী সড়ক সংস্কারবিহীন পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে হাটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। ফলে এলাকার নারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এমনিতে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু পানিতে সে সব গর্তে পড়ে শিশু শিক্ষার্থী, বয়স্ক ও নারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইয়ুব খান রফিক বলেন, এ সড়কের দুপাশ আনোয়ারার আবাসিক এলাকা নামে পরিচিত। এই এলাকায় বিভিন্ন পেশার মানুষ ভাড়া বাসায় থাকেন। কিন্তু এখানে আমাদের ন্যূনতম যোগাযোগ সুবিধা নেই। উল্টো ভোগান্তি আর ভোগান্তি। গরমকালে ধুলোবালিতে এই সড়কে কোনরকম পায়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্তমানে তো সড়কটিতে ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ পানি হয়ে যায়। বিভিন্ন বাসা বাড়ির ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
স্থানীয় রেজাউল বলেন, ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য আনোয়ারায় ভাড়া বাসায় আসার প্রধান কারণ। কিন্তু বড় দুর্ভাগ্য–একটু বৃষ্টি হলে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না।
এলাকাবাসী অতি দ্রুত সড়কে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আকতার জানান, ডাক বাংলো সড়কের জন দুর্ভোগ লাগবে সড়ক সংস্কারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।