নগরীর ইপিজেডের নিউমুরিং এলাকায় পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে শেয়ার ব্যবসায়ীকে খুনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডিত দুই ব্যক্তি হলেন এরফান উদ্দিন কবির ও মো. জুয়েল।
গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নিশাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি আদালতে হাজির ছিলেন না। তারা পলাতক। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফারুক আজাদীকে বলেন, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় দুই আসামিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং থানাধীন বড় মাঝির বাড়ি এলাকায় পাওনা টাকা নিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শেয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাঈদ হোসেন। তিনি গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, থাকতেন খুলশী থানা এলাকায়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন। একইদিন পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাঈদ হোসেনের ব্যবসায়িক পার্টনার এরফান উদ্দিন কবিরকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন নিউমুরিং বোবা কলোনির বড়মাঝি প্রকাশ মাসকট প্রবাসী জসিম উদ্দীনের সাততলা ভবনের পাশের পরিত্যক্ত জমি থেকে সাঈদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আদালতসূত্র জানায়, ভিকটিমের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে এরফান উদ্দিন কবিরের পাশাপাশি মো. জুয়েল ও মো. ফরিদ মিয়া নামের অপর দুই ব্যক্তিকেও অভিযুক্ত করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ৫ জুন এ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বলেন, এ তিনজনের মধ্যে মো. ফরিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
