জুম’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!

আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, তাঁর রাসূল নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফের যিয়ারত করাকে বরকতময় ফযীলত মন্ডিত সর্বোত্তম মুস্তাহাব আমল বরঞ্চ ওয়াজিবের কাছাকাছি আমল হিসেবে অন্তরে ধারণ করে রওজা শরীফের যিয়ারতের মনোবাসনাকে নবীপ্রেমের সওগাত ও নবীজির শাফায়াত লাভের উত্তম ওসীলা মনে করুন।

আল কুরআনের আলোকে রওজা শরীফ যিয়ারতের গুরুত্ব: মদীনা মুনাওয়ারায় রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফ যিয়ারতের গুরুত্ব তাৎপর্য ইহকাল পরকালে এর উপকারিতা পবিত্র কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, এবং যদি কখনো তারা নিজেদের আত্নার প্রতি যুলুম করে তখন হে মাহবুব! তারা আপনার দরবারে হাজির হয়। অত:পর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে আর রাসূল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও দয়াবান পাবেন। (সূরা: , নিসা, আয়াত: ৬৪)

আয়াত সংশ্লিষ্ট তাফসীর: বর্ণিত আয়াতে যুলম ও যালিম স্থান ও কাল কোন কিছুই শর্তারোপ করা হয়নি যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো কালে যে কোন প্রকারের অপরাধ হোক না কেন অপরাধী যখন মহান আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় নূর নবীজির রওজা শরীফে হাজির হয়ে অথবা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র দিকে মনোনিবেশ করলে নবীজির সুপারিশের আশা করা যায়। যদি রওজা শরীফে যিয়ারতের সুযোগ হয়ে যায় তা হবে মহা সৌভাগ্য, নবীজির নূরানী দরবারে প্রত্যেক প্রকারের রোগের ঔষধ রয়েছে, এ পবিত্র দরবার মু’মিনদের শিফাখানা। (হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (.) প্রণীত তাফসীর নূরুল ইরফান, পারা, পৃ: ২৩১)

নবীজির কবরে আনওয়ার তথা রওজা শরীফের স্থানটুকু পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান: হযরত ইমাম কাযী আয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, এ বিষয়ে বিশ্বের ওলামাদের কারো দ্বিমত নেই যে, নবীজির কবর শরীফের জায়গাটি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম স্থান। (শিফা শরীফ, পৃ: ৭৫)

রাসূলুল্লাহর কবর আনওয়ার রওজা শরীফ কা’বা ও আরশের চেয়েও শ্রেষ্ঠ: হযরত আল্লামা শিহাব উদ্দিন খাফাজি, তাফসীর রুহুল মায়ানী প্রণেতা আল্লামা মাহমুদ আলুসী বাগদাদী, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা কুস্তুলানী, হযরত শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম প্রমূখ বর্ণনা করেন যে, রাহমাতুল্লীল আলামীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র নুরানী কবর শরীফের ঐ অংশটুকু যেটা নবীজির নুরানী দেহ মোবারকের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে সেটার মর্যাদা মক্কা মুয়াযমাহ ও আরশে আযীমর চেয়েও শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। (নসীমুর রিয়াজ, খন্ড:, পৃ: ৫৩২, মাওয়াহেবে লুদুনীয়া, মিরকাত, খন্ড:, পৃ: ১৯০, তারিখে মদীনা, পৃ: ৫২, তাফসীর রুহুল মায়ানী, খন্ড: ১৩, পৃ: ১১২)

হাদীস শরীফের আলোকে রওজা শরীফে যিয়ারতকারীকে ক্ষমার সুসংবাদ: তাজেদারে মদীনা দোজাহানের সরদার, কামলিওয়ালা নবী, সরকারে দোআলম নূরে মোজাসসম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফ যিয়ারত করার পুন্যময় আমল সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে প্রচলিত। অসংখ্য হাদীস শরীফ দ্বারা যিয়ারতে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র গুরুত্ব ফযীলত ও উপকারিতা প্রমাণিত। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হাদীস উপস্থাপন করার প্রয়াস পাচ্ছি।

হযরত আবু সাঈদ সামাআনী থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাফন করার তিন দিন পর আমাদের নিকট একজন বেদুঈন (গ্রাম থেকে লোক) আগমন করলেন, তিনি নবীজির রওজা শরীফ জড়িয়ে ধরলেন, রওজা শরীফের মাটি নিয়ে নিজ মাথায় লাগালেন, বেদুঈন আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কথা আমরা শ্রবণ করেছি আপনি আল্লাহর বানী সংরক্ষণ করেছেন, আমরা আপনার থেকে সংরক্ষণ করেছি, আপনার উপর অবতীর্ণ কুরআনের আয়াতের মধ্যে রয়েছে “যদি তারা নিজেদের আত্নার উপর যুলুম করে আপনার কাছে আসে অত:পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ……… আমি নিজের উপর যুলুম করেছি, আপনার নিকট এসেছি যাতে আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রওজা শরীফ থেকে আওয়াজ আসলো আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ক্ষমা করেছেন। (ওয়াফাউল ওয়াফা)

সাহাবী হযরত বেলাল (রা.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে সিরিয়া থেকে নবীজির রওজা শরীফ যিয়ারতে এলেন: হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবীজির অকৃত্রিম আশেক ছিলেন। নবীজির ওফাতের পর তিনি প্রিয় রাসূলের বিচ্ছেদ বিরহে পাগল পারা ও ব্যাকুল হয়ে পড়েন, তিনি মদীনা ছেড়ে সিরিয়া চলে যান, সেখানেই অবস্থানকালে একদিন স্বপ্নযোগে নবীজির দর্শন লাভ করেন। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লহু আনহু বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় করে যখন ফিরছিলেন এবং জারিযা পৌঁছলেন হযরত বেলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর নিকট সিরিয়াতে অবস্থান করার অনুমতি চাইলেন, তিনি অনুমতি দিলেন, বর্ণনাকারী তাঁর সেখানে পৌছা, দরবারে গমন করা বর্ণনা করেছেন, ইতোমধ্যে হযরত বেলাল রাদ্বিয়াল্লাহু স্বপ্নযোগে নবীজির দিদার লাভ করলেন, নবীজি তাঁকে বললেন হে বেলাল! এটা কোন ধরণের অভিমান অবিচার! তোমার কি সুযোগ হচ্ছেনা আমার যিয়ারত করার? উক্ত স্বপ্ন দেখে তিনি খুব ভীত ও চিন্তিত হন, বাহনের উপর আরোহন করে মদীনা শরীফে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন, মদীনা শরীফে পৌছেই রওজা শরীফে আসেন, রওজা শরীফের নিকট এসেই ক্রন্দন শুরু করেন, নিজের চেহারা রওজা শরীফের উপর লাগালেন ইতোমধ্যে হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা এসে গেলেন, তিনি উভয়ের সাথে আলিঙ্গন করেন ও উভয়কে চুমো দেন। (ওয়াফাউল ওয়াফা)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফ যিয়ারত শ্রেষ্ঠ সওয়াবের কাজ: মুসলিম উম্মাহর শীর্য তাফসীরকার হাদীস বিশারদ ও মুজতাহিদ ইমামগন রওজা মুবারক যিয়ারতকে পরম সৌভাগ্য ও শ্রেষ্ঠ সওয়াবের কাজ বলেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার যিয়ারত করবে সে কিয়ামতের দিন আমার নিরাপত্তায় থাকবে। আর যে ব্যক্তি মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থান করবে এবং সেখানকার কষ্টগুলোর উপর ধৈর্যধারণ করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার সুপারিশকারী ও সাক্ষী হবো। যে ব্যক্তি দুই হেরম থেকে কোন এক হেরমে মৃত্যুবরণ করবে সে কিয়ামতের দিন নিরাপত্তা প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (বায়হাকী শরীফ)

হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে, হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত, যে ব্যক্তি আমার ওফাতের পর হজ্ব করে অত:পর আমার কবর (রওজা শরীফ) এর যিয়ারত করে সে যেন তারই মতো হবে যে জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করল। (বায়হাকী, শু’আবুল ঈমান)

উক্ত হাদীসদ্বয়ের ব্যাখ্যায় হাদীস বিশারদ আল্লামা মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (রহ.) মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ ৪র্থ খন্ডে উপরোক্ত অর্থের সাথে আশিক্বগন কর্তৃক বর্ণিত অর্থও প্রকাশ করেছেন যে, যে ব্যক্তি মদীনা মুনাওয়ারায় শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা শরীফের যিয়ারতের উদ্দ্যেশে ও নিয়্যতে গমন করে, নাম ও খ্যাতি অর্জন কোন ব্যবসায়িক কাজ ও পার্থিব কাজের উদ্দেশ্য না থাকে সে কিয়ামত দিবসে রসূল করীমে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিবেশী হবে ও রাসূলে আকরামের নিরাপত্তায় থাকবে। মসজিদে নববী শরীফের যিয়ারত, জান্নাতুল বাক্বী, মসজিদে ক্বোবায় হাজির হওয়া, ওহুদ প্রান্তরে যিয়ারত সেটারই অনুসরণে হয়। মূল উদ্দেশ্য থাকে সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হওয়া।

নবীগণ রওজা শরীফে জীবিত: কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য দলীলের আলোকে প্রমাণিত বিষয় যে, নবীগণ স্বীয় রওজা শরীফে জীবিত। হাদীস শরীফে আছে, হযরত সাবিত আলবুনানী হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, নবীগণ আলাইহিস সালাম তাঁদের কবর সমূহে জীবিত, নামায পড়ছেন। (ইবনে আদী, আল কামিল ২/৩২৭)

ইমাম বায়হাকী সূত্রে ইমাম তকিউদ্দিন সুবকি (.) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রওজা মুবারকে দাফন করার পরপরই আল্লাহ তা’আলা তাঁর রুহ মুবারককে ফেরত পাঠিয়ে দেন এবং রূহ মুবারক দেহ মুবারকের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে থাকবে। যাতে তিনি উম্মতের প্রেরিত সালামের উত্তর দিতে পারেন। (ইমাম তকিউদ্দিন সুবকি (.) শিফাউস সিকাম ফী যিয়ারাতি খাইরিল আনাম)

নবীদের হায়াত ও ওফাত উভয়টি উম্মতের জন্য কল্যাণকর: নবীগণ জাগতিক জীবনে যেভাবে উম্মতের কল্যাণ করতে সক্ষম ওফাতের পরও অনুরূপ উম্মতের উপকার ও কল্যাণ সাধনে সক্ষম। হাদীস শরীফ ইমাম বায়যার আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমরা জিজ্ঞাসা করবে এবং তোমাদেরকে জবাব দেয়া হবে। আমার ওফাতও তোমাদের জন্য কল্যাণকর, তোমাদের আমলসমূহ আমার নিকট পেশ করা হয়। যখন আমি আমার উম্মতের ভাল আমল দেখি আল্লাহর প্রশংসা করি, আর যখন মন্দ আমল দেখি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। (বাযযার: সাল মুসনাদ, হাদীস: ১৯২৫)

বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম কুসতুলানী নবীদের ওফাত অবস্থার বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জীবন ও ওফাত এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, উভয় অবস্থায় তিনি তাঁর উম্মতের অবস্থাদি প্রত্যক্ষ করেন, তাদের অবস্থা তাদের নিয়্যত, পরিকল্পনা, তাদের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত, এসব কিছু তাঁর নিকট সুস্পষ্ট, এতে কোন ধরনের অস্পষ্টতা নেই। (মাওয়াহিবে লাদুনিয়্যাহ, খন্ড:, পৃ: ৩৮৭)

রওজা শরীফে যিয়ারতের আদব: মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে প্রথমে দু’রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায পড়ুন, রিয়াতুল জান্নাতে নামায আদায়ের সৌভাগ্য অর্জন করুন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওজা মোবারকের দক্ষিণ পাশে গিয়ে রওজা শরীফ সামনে নিয়ে কিবলা পিছনে রেখে সম্ভব হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নুরানী চেহারা মুবারক বরাবর দাঁড়াবেন, অত্যন্ত বিনয় আদব ইহতিরাম ও তাজিমের সাথে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নামাযের মত দাঁড়িয়ে নূর নবীজির প্রতি সালাতসালাম পেশ করুন। আরজ করুন, “আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকা ইয়া খাইরা খালকিল্লাহ, আসসালামু আলাইকা ইয়া শফীয়াল মুজনেবীন।” নিজের জন্য, পিতা মাতা, পীর মুর্শীদ, ওস্তাদ, সন্তান সন্তুতি, আপনজন, বন্ধু বান্ধব সকল মুসলমানের জন্য বারবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াত প্রার্থনা করুন। এ দুআ করুন আসআলুকাশ শাফ’আতা ইয়া রাসূলাল্লাহ” এর পর ডানদিকে এগিয়ে আমিরুল মু’মিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি সালাম পেশ করুন। এরপর ডানদিকে আরো একটু এগিয়ে আমিরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি সালাম নিবেদন করুন। পরম শ্রদ্ধাভক্তি ও বিনম্রভাবে দুআ করুন। (আলমগীরি, ১ম খন্ড) হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র রওজা শরীফ যিয়ারত করার সৌভাগ্য নসীব করুন। আমীন।

লেখক : মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী);

খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাট্টলীতে কবি নজরুলের আগমন ও সংবর্ধনা : এলাকার সমুজ্জ্বল ইতিহাস
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী পৌরসভা বিএনপির দোয়া মাহফিল